কোভিড ১৯ (Covid 19) অতিমারীতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় সাংঘাতিক মানসিক ক্ষতির মুখে ফেলছে সাধারণ মানুষকে। এই রোগ থেকে শারীরিকভাবে বাঁচার হাজার উপায় খুঁজে বের করছে সাধারণ মানুষ থেকে চিকিৎসক সবাই। কিন্তু এর মধ্যেই উপেক্ষিত হচ্ছে মন। মনোচিকিৎসকদের মতে লকডাউন মনের ওপর যে ক্ষতিকরক প্রভাব ফেলছে তা একেবারেই উপেক্ষা করার মত নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) যখন অতিমারীর কথা ঘোষণা করেছিল সেই সঙ্গে বলা হয়েছিল মানসিক স্বাস্থ্যের কথাও। এতে বলা হয়েছে মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা এই সবই বাড়বে মারণ এই রোগকে কেন্দ্র করে।
সঙ্গত করাণেই বলা হয়েছিল বলে মনে করছেন মনোবিদরা কারণ রোগে মৃত্যুর আশঙ্কার সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে চাকরি হারানোর ভয়, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তার সঙ্গে লকডাউনের নিসঃঙ্গতা। এগুলি যে একইভাবে সাধারণ মানুষকে আক্রান্ত করবে তা বলাই বাহুল্য।
এরই মধ্যে যে সব জায়গাগুলি দুঃসময়ে মানসিক সাহায্য দিতে পারত বন্ধ হতে থাকে সেগুলিও। বেঙ্গালুরুর নিমহানস বন্ধ হয়ে যায়। চরম সংকটে পড়েন রোগীরা। যাঁদের মানসিক অসুখের ওষুধ খেতে হয় নিয়মিত বিপাকে পড়েন তাঁরাও। বহু ওষুধ অমিল হয় বাজার থেকে। তবে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে অবস্থা খানিকটা সামলিয়েছে। এখন দেশের বড় থেকে মাঝারি শহরগুলিতে টেলি কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে মানসিক সমস্যায় সাহায্য করছেন চিকিৎসকরা। সারা দেশে ১০০০ জন চিকিৎসক এবং ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক টেলি কাউন্সিলিংয়ের হেল্পলাইনে কাজ করছেন।