করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংকটের মধ্যেই এবার নতুন সংকট। শহরে কাজ করা ১৮৫ জন মনিপুরি নার্সকে (Manipur Nurses) নিজের রাজ্যে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। এখানেই শেষ নয় তারা যাতে ঠিকমত নিজের রাজ্যে পৌঁছতে পারে তার জন্য করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থাও করেছে মনিপুর প্রশাসন । এই ট্রেন্ড যদি চলতে থাকে তাহলে ঠিক একই কাজ করবে ওড়িশা এবং ত্রিপুরা। বিপদের সময় শহর ছেড়ে দলে দলে এভাবে নার্স চলে গেলে সাংঘাতিক ক্ষতিগ্রস্ত হবে চিকিৎসা ব্যবস্থা। শুক্রবার আমরি হাসপাতালের গ্রুপ সিইও রূপক বড়ুয়া বলেন, বাইরের অনেক রাজ্য থেকে এই শহরে নার্সিং পড়তে আসে মেয়েরা। তারপর তারা নিজেদের রাজ্যে না ফিরে থেকে যান এখানেই।কাজ করেন কলকাতার হাসপাতালগুলিতে। যদি এই ঘটনা ঘটে তাহলে দুর্যোগ সামাল দেওয়া মুশকিল হবে।
তাঁর এই আশঙ্কায়ই সত্যি প্রমাণিত করে সল্টলেকে চার্ণক হাসপাতাল থেকে ২৭ জন নার্স ইস্তফা দিয়েছেন। আরএন টেগোর থেকে চলে গিয়েছেন ১০ জন নার্স অ্যাপেলো থেকে চলে গেছেন ১২ জন। রুবি থেকে চলে গেছেন ৬ জন ! কোরোনা সংকটে ডাক্তার এবং নার্সদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে যুদ্ধটা লড়ছেন এরাই। চিকিৎসক সংগঠনগুলির মতে রাজ্যে নার্সের সংখ্যা খুব বেশি নয়। এই অবস্থায় যদি ভিনদেশী নার্সরা চাকরি ছেড়ে নিজে নিজে রাজ্য ফিরে যান তাহলে সংকটের সময় পরিস্থিতি সামাল কিভাবে দেওয়া হবে? এখন তাই রীতিমত চিন্তার বিষয়। শুধুমাত্র করোনা নয় ! যে হাসপাতালগুলি থেকে এখনো পর্যন্ত নার্সরা ইস্তফা দিয়েছেন সেখানে ভর্তি রয়েছেন বহু সাধারণ রোগী ও। নার্সরা যদি দলে দলে এভাবে চলে যেতে থাকেন, তাহলে আতান্তরে যেমনি পড়বেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, তেমনি আতান্তরে পড়বেন রোগীরা।