আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে দেশ জোড়া লক ডাউন। সূত্রের খবর, এপ্রিলের ১৫ তারিখের পরিবর্তে লক ডাউন চলতে পারে এপ্রিলের ৩০ পর্যন্ত। পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সে দিকে কড়া নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার। এপ্রিলের ৭ তারিখে লক ডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না, সে বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী হয়ত আরও একবার জনতার উদ্দেশে ভাষণে এই ঘোষণা করবেন কিংবা শুধুমাত্র নোটিশ জারি করেও সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।
লক ডাউনে ফল মিলছে, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কোনও কোনও রাজ্যে বাড়েনি। আপাত ভাবে এটা আশার কথা হলেও কোনও কোনও মহল বলছে পর্যাপ্ত পরীক্ষার অভাবে আক্রান্তের সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সংক্রমণ আটকাতে লক ডাউনই যে একমাত্র পথ তা নিয়ে কারও কোনও দ্বিমত আপাতত নেই। ভারতবর্ষের মত দেশে লক ডাউন সার্বিক সফল করা শুধু কঠিন নয় প্রায় অসম্ভব বলেও মত অনেকের। এ দেশে যাঁরা বস্তিতে থাকেন, তাঁদের যে পরিমাণ জায়গায় পাঁচ-ছ’জন বা তার বেশি সংখ্যক মানুষের পরিবার নিয়ে থাকতে হয়, তাঁদের পক্ষে রাতদিন টানা একুশ দিন বা তার বেশি গৃহবন্দি থাকা কার্যত অসম্ভব বলেই অনেকের অভিমত।
এই ধরনের বাস্তব সমস্যা অনেক, তবু এখনও পর্যন্ত লক ডাউন মোটের ওপর সাফল্যের সঙ্গেই চলছে। পশ্চিমবঙ্গ ও কয়েকটি রাজ্যে দেশ জোড়া লকডাউন ঘোষিত হবার আগেই, রাজ্যের লক ডাউনে মানুষ গৃহবন্দি। সেই কারনে তাঁদের বন্দিদশা তুলনায় বেশি দিনের।