যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল ও রোইং-এর ব্লুজ শর্মি সেনগুপ্ত ময়দানের এক সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব। বেঙ্গল স্টেট টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সচিব। স্কুলে পড়ার সময় ছিলেন সাঁতারের জাতীয় প্রতিযোগী। এর পর টানা ৫ বছর ছিলেন রোইংয়ের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। চিন, হংকংয়ে গিয়েছেন প্রতিযোগী হয়ে।এশীয় প্রতিযোগিতায় বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন। এমএ, বিএড শর্মির স্বামী শিবপুর বিই কলেজের প্রাক্তনী, চাকরি করেন একটি নামী সংস্থায়, জেনারেল ম্যানেজার পদে। শর্মির রোজকার রুটিন লকডাউন বদলে দিয়েছে কিভাবে? উত্তরে ‘হিন্দুস্তান সমাচার’-কে জানালেন, “আগে রোজ সকালে ঘর গৃহস্থালীর কাজ করে টেবল টেনিস সংগঠনের অফিসে আসতাম। সপ্তাহে পাঁচ দিনই। কাজের চাপে রীতিমত হিমশিম খেতাম। এখন স্বামী ছাড়া পরিবারে আছেন আমার যমজ কন্যা (দিদির চেয়ে ৫ মিনিটের ছোট) মনিকঙ্কনা. ও পড়ে ইংলিশ নিয়ে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ ফাইনাল ইয়ারে।দক্ষিণ কলকাতায় গোলপার্কে আমার বাড়িতে আর এক সঙ্গী মোমো, চার বছরের সাদা ধবধবে গোল্ডেন রিট্রিভার, আমাদের সবার আদরের বিশ্বস্ত সঙ্গী। দিনগুলি কাটছে কিভাবে? উত্তর দিলেন, একটা সময় শীর্ষেন্দু, শংকর, কালকূট, সমরেশ মজুমদার গোগ্রাসে পড়তাম । সঙ্গী ছিল জয় গোস্বামীর কবিতা।বেশ কিছুদিন ধরেই সর্বক্ষণের চিন্তা বাংলার টেবল টেনিস নিয়ে। লকডাউনেও ভাবনাচিন্তা একে ঘিরেই কাটছে। কারণ তিনটি সংগঠন এক হয়েছে। সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন থেকে টুর্নামেন্ট— নানা কাজ। বাংলার টেবল টেনিসকে জাতীয় মানচিত্রে আরও প্রতিষ্ঠিত এবং কুলীন করতে হবে. এটাই যেন ধনুর্ভঙ্গ পণ। শর্মির কথায়, খবরের কাগজ ও পোর্টাল দেখি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন অভিনয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এখনর অভিনয় হয় না । কিন্কিন খবরা-খবর নিয়মিত রাখি। লকডাউনে চারদিকে কী হচ্ছে সে খবরগুলি রাখার পাশাপাশি কী হতে পারে সেই চিন্তা সর্বক্ষণ মাথায় ভিড় করে আছে। ছোট কথর কথা খুব মনে হয়. ওর নাম উর্মিমালা, আছে মহারাষ্ট্রে। মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও জনসংযোগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী ।বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লুজ।আমার দুই কন্যাই কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্সের সাতকর।
2020-03-29