দেশের করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আর এই পরিস্থিতিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসার অত্যাবশ্যক অক্সিজেন সরবরাহের দায়িত্ব নিলো ইন্ডিয়ান অয়েল। দেশের বৃহত্তম পেট্রোলিয়াম উৎপাদনকারী সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড এবার সরাসরি করোনা যুদ্ধে শরিক হয়ে পড়লো। একাধিক রাজ্যের হাসপাতালের জন্য চিকিৎসায় ব্যবহারযোগ্য ১৫০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহ কট্রর দাযিত্ব নিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। এই অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হবে দিল্লি, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায়।
দেশে কোরোনার দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দিল্লির মতো রাজ্যে ইতিমধ্যেই অক্সিজেনের জন্য এক কথায় হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছে। একই পরিস্থিত মারহারাষ্ট্র সহ আরও কয়েকটি রাজ্যের। পশ্চিমবঙ্গেও অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে বলে সোমবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। এমনকী অক্সিজেনের অভাবের জন্য দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় করোনা রোগী মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগও উঠছে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের ভার নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। তাদের মাধ্যমে দিল্লির মহা দুর্গা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট হসপিটালে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান অয়েল সংস্থার চেয়ারম্যান এসএম বিদ্যা এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলেন, “এই অতিমারীর সময় আমাদের মূল লক্ষ্য দেশের পাশে থাকা, হাসপাতালগুলিতে যাতে ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় সেটা সুনিশ্চিত করার জন্যই । শুধু তাই নয় আমরা, পিপিই তৈরির উদ্যোগও নিয়েছি।”
আসলে দেশের করোনা পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে অক্সিজেন উৎপাদন এবং সরবরাহ যদি শীঘ্রই বাড়ানো না যায় তাহলে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারও চেষ্টা করছে যাতে যত বেশি পরিমাণ সম্ভব অক্সিজেন উৎপাদন ও সরবরাহ বজায় রাখা যায়। তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী। চিকিৎসকরা বলছেন কোরোনার দ্বিতীয় ঢেউ যেভাবে দেশে ছড়িয়েছে তাতে প্রথমবারের চাইতে দ্বিতীয়বারের করোনা সংক্রমণের তীব্রতা অনেকাংশে বেশি। সংক্রমিত ব্যক্তির শুরুতেই বেশি রকমের জ্বর ও শ্বাস কষ্ট শুরু হয়ে যাচ্ছে। তাই এবারের চিকিৎসায় অক্সিজেন অত্যন্ত জরুরি। তাই এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের এই পদক্ষেপ উল্লেখের দাবি রাখে।