করোনা প্রতিষেধক (Corona vaccine) প্রয়োগে নয়া ইতিহাস তৈরি হল বিশ্বে। মানুষ নয়, এবার করোনা টিকা পেল মানবেতর প্রজাতি, ওরাংওটাং। আমেরিকার সান ডিয়েগো (San Diego) চিড়িয়াখানার চার মহিলা ওরাংওটাংকে দেওয়া হল ভ্যাকসিন। মহামারী থেকে সুস্থ থাকতে টিকাগ্রহণ করল কারেন নামে এক ওরাংওটাং, যার মধ্যে সে নিজেও প্রাণীজগতে নজির হয়ে রইল। নয়ের দশকের এই কারেনের শরীরেই প্রথম ওপেন হার্ট সার্জারি হয়।
শুধু মানুষই নয়, করোনা ভাইরাস (Coronavirus) সংক্রমণের শিকার এখন অন্যান্য প্রাণীরাও। কখনও বাঘ, কখনও তুষারচিতার শরীরে কোভিডের থাবা বসানোর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। গরিলা জাতীয় প্রাণীদের শরীরেও করোনাকর জীবাণু মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে তাদেরও টিকাদান কর্মসূচির মধ্যে আনা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো চিড়িয়াখানায় তাই মোট ৪ টি মহিলা ওরাংওটাংকে দেওয়া হয়েছে করোনা ভ্যাকসিন। যা গোটা বিশ্বেই প্রথম। এখন টিকা নিয়ে তাদের শরীর কেমন থাকে, সেদিকে কড়া নজর রাখছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। চিড়িয়াখানার সংরক্ষক ন্যাডিন ল্যাম্বারস্কির মতে, এর আগে হাম এবং ফ্লু’র টিকা দেওয়া হয়েছিল এই Great Ape প্রজাতির প্রাণীদের। তাতে কাজ হয়েছিল। তবে করোনার মতো মহামারীর টিকাও ততটাই কার্যকর হবে কি না, তা দেখার। তাঁর মতে, বিজ্ঞানের আশীর্বাদ শুধুই মানবজাতির জন্য নয়, সামগ্রিক জীবজগতের জন্যই। তাই ওরাংওটাংদের টিকাপ্রাপ্তিতে তিনি রীতিমতো উচ্ছ্বসিত।
সান ডিয়েগো চিড়িয়াখানার অন্যান্যদের সঙ্গে করোনার টিকা নিয়েছে কারেন নামে এক ওরাংওটাংও। আপাতত সে-ই আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ, ১৯৯৪ সালে এই কারেনের শরীরেই প্রথম ওপেন হার্ট সার্জারি হয় সফলভাবে। সেদিক থেকে কারেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের বহু সাফল্যের সাক্ষী, তা বলা যেতেই পারে। তবে প্রাণীদের শরীরে এর আগেও পরীক্ষামূলকভাবে টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। কুকুর ও বিড়ালের শরীরেও টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে এবার তাদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়টি রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে।