কয়েকদিন আগে ছিল না কোভ্যাক্সিন। সেই কারণে বন্ধ হয়েছিল কোভ্যাক্সিনের টিকাকরণ। এবার ঘাটতি দেখা দেয় কোভিশিল্ডের। তাই গত কয়েকদিন কলকাতা পুরসভা এলাকায় বন্ধ হয় কোভিশিল্ডের টিকাকরণ। তবে এই হাহাকারের মাঝেই রাজ্যে এল কোভিশিল্ডের সাড়ে ৩ লক্ষ ডোজ টিকা। স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, এই পরিমাণ টিকা চাহিদার তুলনায় স্বল্প হলেও আপাতত কিছুদিন টিকাকরণ চালানো যাবে আবার।
উল্লেখ্য, কোভ্যাক্সিনের সরবরাহ প্রথম থেকেই একটু কম ছিল গোটা দেশেই। তবে কোভিশিল্ডের সরবরাহ মোটের উপর সন্তোষজনক ছিল। গত কয়েকমাস ধরে কলকাতা ছাড়া জেলাতেও খুব সহজেই মিলেছে কোভিশিল্ড। তবে সেই কোভিশিল্ডেরই ঘটতি দেখা দেয় গত শুক্রবার থেকে। ফলে অনেকেরই কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজের পাওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় হাহাকার। স্বাস্থ্যভবনের মত, পুরসভার ভুল নীতির কারণেই কোভিশিল্ডের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে পুরসভআর তরফে এই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। উলটে দায়ী করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। অভিযোগ, কেন্দ্র কম টিকা পাঠাচ্ছে রাজ্যে।
এই রাজনৈতিক চাপানউতোর, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের মাঝেই শনিবার বিকেলে কলকাতায় এসে পৌঁছেছে কোভিশিল্ডের ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৪০ ডোজ টিকা। এছাড়া এসেছে ১ লক্ষ কোভ্যাক্সিনের ডোজও। এই ডোজ আসায় টিকার হাহাকার মিটবে বলে আশা স্বাস্থ্য দফতরের। তবে এই পরিমাণ যে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়, তাও জানানো হয়েছে। আপাতত এই টিকার ডোজগুলি বাগবাজারে সেন্ট্রাল ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্টোরে মজুত করা হবে। বর্তমানে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন মিলিয়ে ১৭ লক্ষ ডোজ টিকা মজুত রয়েছে রাজ্যে।