ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে আছে ওমিক্রন, জানাল কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠান

ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে আছে করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রন। একাধিক মেট্রো শহরে সেই প্রজাতির করোনাভাইরাস সবথেকে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। যেখানে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠান ‘ইন্ডিয়ান সার্স কোভ-২ জেনোমিক্স কনসর্টিয়াম’ (INSACOG)।

রবিবার INSACOG-এর প্রকাশিত বুলেটিনে (১০ জানুয়ারির বুলেটিন) জানানো হয়েছে, এখনও অধিকাংশ ওমিক্রন আক্রান্তের কোনও উপসর্গ নেই বা একেবারে মুদু উপসর্গ আছে। তবে এবারের করোনার ঢেউয়ে ঝুঁকির মাত্রা কমেনি। বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘ভারতে এখন গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে আছে ওমিক্রন। একাধিক মেট্রো শহরে তা সবথেকে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। যেখানে দ্রুতগতিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।’ ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

গত ৩ জানুয়ারির বুলেটিনও রবিবার প্রকাশ করেছে INSACOG। তাতে জানানো হয়েছে, ভারতে এখন ওমিক্রনের সংক্রমণ যে ছড়িয়ে পড়বে, তা অভ্যন্তরীণ কারণে ছড়িয়ে যাবে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীরা সেজন্য দায়ী হবেন না। ক্রমশ পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে জিনোম সিকোয়ন্সিংয়ের কৌশলের নির্ধারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে INSACOG। যে প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে আছে। 

কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, ওমিক্রনের সংক্রামক উপ-প্রজাতি BA.2 লিনেজেরও হদিশ মিলেছে ভারতের। এস-জিন নির্ভর ড্রপ-আউট পরীক্ষায় তাই বেশি সংখ্যক ‘ফলস নেগেটিভ’ (নেগেটিভ হয় আদতে, কিন্তু রিপোর্ট আসবে নেগেটিভ) ফল মিলতে পারে। INSACOG-র বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি যে B.1.640.2 প্রজাতির হদিশ মিলেছে, তার উপর নজর রাখা হচ্ছে। দ্রুত সংক্রমণের আপাতত কোনও প্রমাণ মেলেনি। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী শক্তিকে এড়িয়ে যেতে পারে। যা উদ্বেগজনক প্রজাতি (ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন) নয়। ভারতে এখনও পর্যন্ত সেই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মেলেনি।’ সঙ্গে সেই প্রতিষ্ঠানের তরফে বলা হয়েছে, ‘সার্স কোভ-২ ভাইরাসের যে জিনগত পরিবর্তনের বিরুদ্ধে মূল বর্ম হচ্ছে করোনা বিধি পালন এবং করোনা টিকা গ্রহণ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.