ডেল্টার প্রকোপ কাটতে না কাটতেই হাজির হয়েছে ওমিক্রন। আগামিদিনেও নয়া কোনও ‘উদ্বেগজনক’ প্রজাতির করোনাভাইরাসের হদিশ পাওয়ার আশঙ্কা আছে। সেই পরিস্থিতিতে করোনা টিকার পাশাপাশি বুস্টার শট দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার পরামর্শ দিলেন ইয়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোবায়োলজির অধ্যাপক আকিকো ইয়াসাকি।
‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে’ ইয়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোবায়োলজির অধ্যাপক বলেন, ‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির বিষয়টির মাথায় রেখে আমার মনে হয় যে দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের ছয় মাসের আগে বুস্টার শট দেওয়ার প্রয়োজনীতার দিকে নজর দেওয়া উচিত।’
গত শুক্রবারই নয়া বি.১.১.৫২৯ প্রজাতিকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ (বুধবার) দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রথম বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির করোনার প্রথম যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল গত ৯ নভেম্বর। যে প্রজাতির একাধিকবার মিউটেশন (জিনগত পরিবর্তন) হয়েছে। কয়েকটি মিউটেশন তো উদ্বেগজনক। প্রাথমিকভাবে যে তথ্য মিলেছে, তাতে জানা গিয়েছে যে অন্যান্য ‘উদ্বেগজনক’ বা ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্নের’ থেকে বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির ক্ষেত্রে পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
মঙ্গলবার ‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে’ ইয়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোবায়োলজির অধ্যাপক আকিকো ‘ওমিক্রন প্রজাতির করোনাভাইরাস কতটা মারাত্মক বা কত দ্রুত এটা ছড়িয়ে পড়ে, তা এখনও জানি না। তবে এটার অনেক বেশি জিনগত পরিবর্তন হয়।’ সেইসঙ্গে তিনি জানান, হার্ড ইমিনিউটির মাপকাঠি ক্রমাগত পালটে যাচ্ছে। ওমিক্রনের বিরুদ্ধে হার্ড ইমিনিউটি তৈরির জন্য কী মাপকাঠি, তা এখনও স্পষ্ট নয় তিনি বলেন, ‘ওমিক্রনের মতো নয়া এবং অধিক সংক্রমিত করোনার প্রজাতির ফলে হার্ড ইমিউনিটির জন্য যে শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হয়, তা পালটাতে থাকছে।’ সেই পরিস্থিতিতে টিকাকরণের উপর অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করেছেন ইয়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোবায়োলজির অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘সেই সূচক ওঠানামা করছে। তাই বেশি বেশি করে মানুষকে টিকা প্রদান করতে হবে।’