রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদীয়ার পলাশীপাড়া। ভাঙচুর করা হল অ্যাম্বুলেন্স। হাসপাতালেও চলল ভাঙচুর। রেহাই পেল না পুলিশও। মারধোর করা হল পুলিশকেও। আর তা নিয়ে রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদীয়ার পলাশীপাড়ার গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বর।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আজ সকালে লরির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন দুই বাইক আরোহী। বাইকে করে যাওয়ার সময় পিছন থেকে একটি লরি তাদের ধাক্কা মারে। এরপরেই বাইক থেকে উল্টে পড়ে যান বাইক চালক এবং আরোহী। ঘটনার খবর পাওয়ার পর স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে উদ্যোগী হন। এরপর অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হলে তা বেশ কিছুক্ষণ দেরিতে আসে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মধ্যে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আর তাতেই ক্ষুব্দ হয়ে ওঠেন মৃতের পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা। এই মৃত্যুর জন্য চিকিৎসায় গাফিলতিরকে দায়ী করেছেন পরিবারের লোকজন। এই অভিযোগ তোলে পরিবারের সদস্য এবং গ্রামবাসীরা অ্যাম্বুলেন্স ও হাসপাতালে ভাঙচুর চালান।
এদিকে, ঘটনার খবর পাওয়ার পর বিশাল পুলিশবাহিনী সেখানে মোতায়ন করা হয়। কিন্তু, পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা পুলিশকেও মারধর করে বলে অভিযোগ। পরে কোনওভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি চার্জ করার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।