শীতকাল কার না ভাললাগে! শীতকাল মানেই পিকনিক, নানান জায়গায় ভ্রমণ, শীতকাল মানেই কম্বলের মধ্যে থেকে আলতো উঁকি, কুয়াশা মাখা ভোর, ঘাসের ডগায় শিশিরের পরশ, হিমেল হাওয়া, মিষ্টি রোদ্দুর, এর সঙ্গে গরম গরম খাবার এবং পানীয়! তবে এইসময়ের কিছু নেতিবাচক দিকও আছে, যেমন- শীতকালে ত্বকে ফাটল ধরে, সর্দি- কাশি, ভাইরাল ফ্লু, শ্বাসকষ্ট, এবং অন্যান্য ইনফেকশন এগুলি হয়ে থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই এইসময় নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নিতে ও সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। আসুন জেনে নেওয়া যাক শীতকালের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর খাবারগুলির সম্পর্কে –

১. পালং শাক

শরীর সুস্থ রাখতে সবুজ শাক-সবজি আমাদের সবসময়ই খাওয়া উচিত। বিশেষত, শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে শাক-সবজি খাওয়া উচিত। পালং শাক আমাদের শরীরের অত্যন্ত উপকারি। এটি আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের দুর্দান্ত উৎস। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।

২. ঘি ও মাখন

ঘি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। ঘি-তে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে শীতকালে ঘি দেহের তাপমাত্রা বাড়ায়। মাখনেও ক্যলোরি থাকে, যা দেহের তাপমাত্রাকে ঠিক রাখে।

৩. বাদাম

কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণ মিনারেল, ভিটামিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা আমাদের ত্বক ভাল রাখে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচায়। এছাড়াও, বাদাম হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, দেহের তাপমাত্রা বাড়ায় এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

৪. আদা ও রসুন

যে কোনও খাবারের স্বাদ বাড়াতে আদা ও রসুন যে একাই একশো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধুমাত্র তাই নয়, পাশাপাশি, এগুলি আমাদের শরীরকে গরম রাখে ও কোলেস্টেরল কমায়। সর্দি-কাশি ও হাঁপানি প্রতিরোধ করে। রান্নায় দেওয়ার পাশাপাশি এগুলি কাঁচাও খাওয়া যায়।

৫. ডার্ক চকোলেট

চকোলেট খেতে কে না ভালবাসে! এটি ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচায়, দেহের তাপমাত্রা বাড়ায়, মানসিক অবসাদ দূর করে।

৬. মাছ, মাংস, ডিম

মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং জিঙ্ক থাকে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। মাংসে আয়রন থাকে, যা শরীরকে গরম রাখে। মাছ, মাংসের পাশাপাশি দুধ, ডিম এবং পনির ভিটামিন বি ১২ এর দুর্দান্ত উৎস। ভিটামিন বি ১২ ক্লান্তি দূর করে।

৭. ভিটামিন সি

খাদ্যতালিকায় মিষ্টি আলু, টমেটো, লাল মরিচ এবং সাইট্রাস ফলের মতো খাবার যুক্ত করুন কারণ এগুলিতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষত, আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তবে এগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.