এইমসের চিকিৎসকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। জানা গিয়েছে মন্ত্রী এইমসের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবেন যে কোভিড মোকাবিলায় কতটা তৈরি রয়েছেন তারা এবং এই অতিমারিকে হারাতে গেলে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কী কী করা উচিৎ তা নিয়েও কথা বলবেন তিনি। এই বৈঠক হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।
তবে একাধিক রাজ্যে ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে। তা স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে জানিয়েছে প্রায় সমস্ত রাজ্যই। কিন্তু মন্ত্রী এই বিষয়টি মানতে নারাজ যে ভ্যাকসিনের অভাব রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের দাবি, দেশে ভ্যাকসিনের কোনও ঘাটতি নেই। সব রাজ্যকেই তাদের প্রয়োজন মতো ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। বলা যেতে পারে রাজ্যগুলির কোর্টে বল ফেলে দিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেছেন, ‘ভ্যাকসিনের কোনও ঘাটতি নেই। সরকারের তরফে প্রতিটি রাজ্যকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের উচিত ভ্যাকসিনকে বিভিন্ন সেন্টারে পৌঁছে দেওয়া। বিভিন্ন সেন্টারে যাতে সময়ের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে ভ্যাকসিন পৌঁছে যায়, সেই ব্যবস্থাই রাজ্যগুলির করা উচিত। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার থেকে শুরু হওয়া টিকা উৎসব বুধবার শেষ হয়েছে। এই টিকা উৎসবের ফলে ১১ কোটি মানুষের কাছে করোনার টিকা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’
একইসঙ্গে হর্ষ বর্ধন এও বলে দিয়েছেন যে, ‘ভ্যাকসিন সরবরাহের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে এবং কয়েকটি রাজ্য টিকাকরণের লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। মহারাষ্ট্রের জন প্রতিনিধির মাধ্যমে পাঠানো ভ্যাকসিনের ঘাটতি নিয়ে বিবৃতি আমি দেখেছি। মহামারি রোধ করতে মহারাষ্ট্র সরকার বারংবার ব্যর্থ হচ্ছে বলে মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘোরানোর এটা বাজে প্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পদক্ষেপ করতে মহারাষ্ট্র সরকারের অক্ষমতা বোধগম্য। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার মুর্খামিকে তা আরও জটিল করে তোলে। প্রকৃত–সময়েই ভ্যাকসিন সরবরাহের ওপর নজরদারি চলছে এবং রাজ্য সরকারগুলিকে এ সম্পর্কে নিয়মিত অবহিত করা হচ্ছে। ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে এটি একেবারে ভিত্তিহীন অভিযোগ।’
পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। বেশি আক্রান্ত কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায়। এর মধ্যে এই জেলাতেই চলেছে এবং চলবে ভোট পর্ব। এদিকে সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবিলম্বে ভ্যাকসিনের জোগান বাড়ানো এবং নিয়মিত করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রবিবারই চিঠিও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজেই সেই কথা জানিয়েছেন। করোনার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ দু’টি ওষুধেরও জোগান কম রয়েছে তা বাড়ানোর জন্যও দাবি জানিয়েছেন তিনি। অক্সিজেনের সরবরাহে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টি দেখার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছেন তিনি।