পশ্চিমবঙ্গে প্রথম ওমিক্রনে আক্রান্তের হদিশ মিলল। মালদহের (আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা) সাত বছরের এক বালকের শরীরে করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। আবুধাবি থেকে হায়দরাবাদ হয়ে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে ফিরেছে ওই বালক। তবে তার বাবা-মা’র করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে সূত্রের খবর।
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আবুধাবি থেকে সম্প্রতি হায়দরাবাদে আসে ওই বাংলা। সেখান থেকে রাজ্যে ফিরেছে। মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ স্যানাল বলেছেন, ‘গত ১০ ডিসেম্বর গভীর রাতে হায়দরাবাদে আসে ওই বালক এবং তার বাবা ও মা। আবুধাবি থেকে এসেছিল বালকদের বিমান। ১১ ডিসেম্বর কলকাতার বিমান ধরে বালকের পরিবার। আপাতত যা খবর মিলেছে, তাতে গাড়িতে করে ফরাক্কায় আসেন তাঁরা।’ ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
তারইমধ্যে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের পর বালকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। নিয়মমতো জিনের সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনা পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যায়, করোনার নয়া প্রজাতির কবলে পড়েছে বালক। মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেছেন, ‘কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। জিনের সিকেয়েন্সিংয়ে জানা যায়, ওমিক্রন প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছে বালক।
মুর্শিদাবাদের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, ফরাক্কায় থাকেন বালকের পরিবারের সদস্যরা। তবে বাবা এবং মায়ের সঙ্গে মালদহের কালিয়াচকে থাকে ওই বালক। তাকে শীঘ্রই হাসপাতালে ভরতি করা হবে। শিশুটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। একেবারে মৃদু উপসর্গ আছে। তার বাবা এবং মায়ের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। পরিবারের সদস্যদের নিভৃতবাসে (আইসোলেশন) রাখা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেছেন, ‘বালকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই পরিবার যেখানে থাকে, সেই এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’