বাঁচার একমাত্র উপায় সম্মিলিতভাবে লড়াই করা। না হলেই মহাবিপদ। আগামীদিনে দ্বিগুণ হতে পারে করোনায় (Coronavirus) মৃত্যুর সংখ্যা। শনিবার এক ভারচুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে এমনই সতর্কবার্তা দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বিভাগের কর্তা মাইক রায়ান। করোনার প্রকোপে বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মাইক রায়ান বলছেন, আমরা যদি এখনই সম্মিলিত হয়ে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ না করি, তাহলে আগামী দিনে এই মৃতের সংখ্যাটা ২০ লক্ষে পৌঁছে যেতে পারে।
চিন করোনা ভাইরাসের (COVID-19) বিপদ নিয়ে WHO-কে সতর্ক করেছিল ঠিক ৯ মাস আগে। চিনের সতর্কতা বার্তা পাওয়ারও বেশ কিছুদিন পর ৩০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে ‘পাবলিক হেলথ এমারজেন্সি’ ঘোষণা করে WHO। এর মধ্যে বহু ঢিলেমির অভিযোগ উঠেছে। আমেরিকা অভিযোগ করেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাফিলতির জেরে করোনা আজ মহামারীর আকার নিয়েছে। আবার WHO দাবি করেছে, আমেরিকা-সহ বহু দেশ তাদের দেওয়া সতর্কবার্তাকে গুরুত্ব দেয়নি। কারণ যাই হোক, করোনা আজ বিশ্বব্যাপী ত্রাস সৃষ্টি করেছে। বিশ্বজুড়ে এর কবলে পড়েছেন ৩ কোটি ৩৪ লক্ষের বেশি মানুষ। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিপদ এখনও বাকি আছে। এই মহামারী থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে, সেখানে সংক্রমণ কমছে। যেখানে মানা হচ্ছে না, সেখানে বাড়ছে। আমাদের এখন সম্মিলিতভাবে এই ভাইরাস রুখে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সেটা যদি না করা যায় তাহলে সমূহ বিপদ। মাইক রায়ান শনিবার বলছিলেন,”১০ লক্ষ সংখ্যাটা ভয়াবহ। এই মৃতের সংখ্যাটা আরও ১০ লক্ষ পূর্ণ হওয়ার দিকে পা বাড়ানোর আগে আমাদেরই ফিরে দেখা উচিত, এই মহামারী রুখতে আমরা কতটা কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছি। আমরা কি সত্যিই এই ভয়াবহতা এড়ানোর জন্য প্রস্তুত? আর যদি সত্যিই আমরা সম্মিলিতভাবে পদক্ষপ করার প্রস্তুতি না নিয়ে থাকি, তাহলে মৃতের সংখ্যাটা অনেক অনেক বেশি হবে। ২০ লক্ষ হওয়ার সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিগত ৯ মাসে আমরা ১০ লক্ষ মানুষকে হারিয়েছি। আগামী ৯ মাস ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা না করে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”