গতকালই অক্সফোর্ডের করোনা টিকাকে ভারতে জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞ কমিটি। সূত্রের খবর, এবার এই টিকার ব্যবহারে DGCI জরুরি সিলমোহর দিলেই শুরু হয়ে যাবে টিকাকরণ। যা শোনা যাচ্ছে, আগামী ৬ জানুয়ারি থেকেই ধীরে ধীরে টিকাকরণ শুরু করে দিতে পারে সরকার। তার আগে আজ দেশজুড়ে সম্পন্ন করা হবে টিকাকরণ পদ্ধতির ড্রাই রান। কীভাবে টিকা দেওয়া হবে, কীভাবে তা সংরক্ষণ করা হবে, স্বাস্থ্যকর্মীদের ইতিমধ্যেই সেসব নিয়ে ট্রেনিং দিয়েছে সরকার। আজ হাতেকলমে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেখা হবে।
এর আগে চার রাজ্যে সফলভাবে এই ড্রাই রান সম্পন্ন হয়েছে। আজ বাকি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় সরকার। সূত্রের খবর, দেশজুড়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য মোট ৮৬ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সব রাজ্যের রাজধানী এবং দেশের মোট ৭১৯টি জেলায় অন্তত একটি করে টিকাকরণ কেন্দ্র খোলা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ২৫ জনকে ড্যামি করোনার টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন (Harsh Vardhan) জানিয়েছেন, এই ড্রাই রানের মূল উদ্দেশ্য হল পুরো প্রক্রিয়া হাতেকলমে শেষ করার অভিজ্ঞতা অর্জন। এবং টিকাকরণের সময় কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার মোকাবিলা করা।
এদিকে, টিকাকরণ শীঘ্রই শুরু হবে দেশে। সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন এইমসের ডিরেক্টর ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া (Randeep Guleria)। তিনি জানান, “একটা ক্রাইটেরিয়া ঠিক হয়েছে। যাদের ডায়াবেটিস, ক্রনিক রেনাল, রেসপিরেটরি সমস্যা বা অন্য কোনও কো-মর্বিডিটি আছে, তাঁরা আগে টিকা পাবেন। তাঁদের মধ্যেও অগ্রাধিকারের তালিকা তৈরি হবে। কারও হয়তো ডায়াবেটিস আছে কিন্তু নিয়ন্ত্রণে। অন্য কাউকে দশ বছর ধরে ইনসুলিন নিতে হয়। তাঁকে আগে টিকা দেওয়া হবে।” আপাতত সরকারি অর্থেই টিকা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। অর্থাৎ প্রাথমিকভাবে যারা ভ্যাকসিন পাবেন, তাঁদের কোনও অর্থ দিতে হবে না। AIIMS ডিরেক্টরের ইঙ্গিত, দুটি ডোজের মধ্যে ২৮ দিনের ব্যবধানও রাখতেই হবে।