আরও এক ধাপ এগলো করোনা টিকাকরণ। এবার ৪৫ ঊর্ধ্বরাও টিকা পাবেন, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
ন্যাশানাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর ব্লু-প্রিন্ট মেনেই চলছে টিকাকরণ। সেই ছক অনুযায়ী প্রথমেই টিকা পেয়েছেন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। অর্থাত্ চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিসকর্মী ইত্যাদি পেশায় যুক্তরা। এমন মানুষের মোট সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি।
১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ। দ্বিতীয় দফায় ষাটোর্ধ্বদের পাশাপাশি করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে ৪৫ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিরা যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে। ১০ হাজার সরকারি এবং ২০ হাজার বেসরকারি হাসপাতালের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে করোনার টিকা। সরকারি ক্ষেত্রে টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হলেও বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে টিকা নিতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে এখনও পর্যন্ত দেশের ৪ কোটির বেশি মানুষের টিকাকরণ সম্পন্ন। ফের উর্ধ্বগামী করোনা সংক্রমণ। ১৩৩ কোটি জনসংখ্যার দেশকে এই মহামারীর হাত থেকে বাঁচাতে দ্রুত নাগরিকদের টিকাকরণ প্রয়োজন। এই বিষয়টি মাথায় রেখে ২৪x৭ করোনা ভ্যাকসিনেশন চালু রাখার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। মঙ্গলবার টিকাকরণ নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি জানান, ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ ঊর্ধ্বরা সকলেই নিতে পারবেন করোনা টিকা। এবং এবার থেকে নিজের সুবিধামতো যেকোনও সময়ে নিন করোনা টিকা, জানালেন কেন্দ্রীয় ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪০ হাজার ৭১৫ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । সোমবারের তুলনায় এই সংখ্যা কিছুটা কমলেও সার্বিকভাবে উদ্বেগজনক। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৬ জন। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার ১৬৬। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা প্রাণ কেড়েছে আরও ১৯৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন মাত্র ২৯ হাজার ৭৮৫ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অনেকটা কম। ফলে দেশের মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৭। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন, ১ কোটি ১১ লাখ ৮১ হাজার ২৫৩ জন। এখনও পর্যন্ত মোট টিকা পেয়েছেন ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৪ জন।