১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সিদের টিকার জন্য নথিভুক্তিকরণ নিয়ে জেনে নিন জরুরি তথ্য

১ মে থেকে করোনা প্রতিষেধক পাবেন ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সিরাও। আজ থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে তার নথিভুক্তিকরণের পদ্ধতি। রইল কিছু জরুরি প্রশ্নের উত্তর

কোথায় পাওয়া যাবে প্রতিষেধক?

একমাত্র বেসরকারি টিকাকরণের কেন্দ্রগুলিতে।

কী করে নথিভুক্ত হতে হবে?

একমাত্র সরকারি ওয়েবসাইট কোউইন (www.cowin.gov.in) অথবা আরগ্য সেতু অ্যাপের মাধ্যমে আপনি নথিভুক্ত হতে পারেন। না করালে কোনও হাসপাতাল বা টিকাকরণের কেন্দ্রগুলিতে গিয়ে প্রতিষেধক পাবেন না।

কী ভাবে করব?

মোবাইল ফোনের নম্বর এবং আধার কার্ডের নম্বর দিয়ে নথিভুক্ত হতে হবে। ওয়েবসাইটের নির্দেশ মেনে আপনার টিকাকরণের কেন্দ্র বেছে নিন। বাছাই করতে পিন কোড ব্যবহার করুন। ফোনে একটি কোড পাবেন বার্তার মাধ্যমে। সেটি যত্ন করে রাখুন।

টিকাকরণের তারিখ কি বদলানো সম্ভব?

হ্যাঁ, টিকাকরণের তারিখে আগের দিন পর্যন্ত সম্ভব।

কোন প্রতিষেধকগুলি পেতে পারি?

আপাতত কোভ্যক্সিন এবং কোভিশিল্ড পাবেন। কিছু সময়ের পর স্পুটনিক-ভি এবং অন্যান্য প্রতিষেধকও ভারতে আসার কথা।

কত খরচ?

আপনার রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রগুলি মিলে দাম নির্দিষ্ট করবেন।

কমবয়সিদের জন্য কি কোভিশিল্ড নিরাপদ?

একদমই নিরাপদ। বিশ্বজুড়ে বহু মানুষ এই প্রতিষেধক নিয়েছেন। হাতে-গোনা কিছু মানুষ বাদে কারুর ক্ষতিকর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। ভয়ের কোনও কারণ নেই।

গর্ববতী অবস্থায় প্রতিষেধক নেওয়া যাবে?

সম্প্রতি কিছু গবেষণা বলছে, গর্ববতী অবস্থায় প্রতিষেধক নেওয়া বিপজ্জনক নয়। তবে আরও গবেষণা চলছে। আপাতত কিছুদিন স্থগিত রাখতে চাইলে তা আপনার সিদ্ধান্ত।

ঋতুস্রাবের সময় কি প্রতিষেধক নেওয়া নিরাপদ?

একেবারেই নিরাপদ। কোনও রকম গুজব বা ভুয়ো খবরে কান দেবেন না।

কোভিশিল্ড না কোভ্যাক্সিন— কোনটা নেওয়া উচিত?

দুই প্রতিষেধকের কার্যকারিতা যাচাই করে হয়েছে। করোনার প্রভাব কম হোক কি বেশি, সব ক্ষেত্রেই কাজ করবে দু’টো প্রতিষেধকই। যেটা আপনার কাছে সহজলভ্য সেটাই নিন।

তরুণদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেশি? তা-ও কি প্রতিষেধক নেওয়া প্রয়োজন?

যে কোনও বয়সের মানুষই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন এবং তার প্রভাবও ভয়ংকর হতে পারে। তাই সকলেরই প্রতিষেধন নেওয়া প্রয়োজন।

প্রতিষেধক নিয়েও মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন? তা হলে নেওয়ার কী লাভ?

প্রতিষেধক নেওয়া থাকলে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়। আর হলেও রোগের প্রভাব অনেক কম হয়। টিকা নেওয়ার পর শরীরে অনেক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ শরীরে তেমন প্রভাব ফেলতে পারে না। জীবনহানির আশঙ্কা কমে।

প্রতিষেধক নেওয়ার পর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যায়?

জ্বর, মাথা ধরা, গা ব্যথা, ক্লান্তি এবং টিকা নেওয়ার জায়গায় ব্যাথা— সাধারণত এগুলি টিকাকরণের পর লক্ষ্যণীয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ২-৩ দিনে ওষুধের সাহায্যে এগুলি সামলে নেওয়া যায়। টিকাকরণের পর আধ ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে এই সময়ে ধরা পড়বে। এবং সেই মতো চিকিৎসাও করা হবে।

প্রথম পর্বের টিকাকরণের পর যদি কোভিড আক্রান্ত হই, তা হলে দ্বিতীয় পর্বের প্রতিষেধক কি নেওয়া সম্ভব?

হ্যাঁ, কোভিড-পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়ার ৩ মাস পর আপনি দ্বিতীয় পর্বের প্রতিষেধক নিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.