ওয়াশিংটনের একটি সমীক্ষা সংস্থার নতুন সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ভারতে এই মহামারীকালে অতিরিক্ত মৃতের সংখ্যা ৪৯ লাখ পর্যন্ত হতে পারে। সরকারি তথ্যে মৃতের সংখ্যা আছে, তার থেকে আরও অনেক বেশি মৃত্যু হতে পারে বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪.২ লাখ জনের। গত এপ্রিল ও মে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আসার পর থেকে করোনা সংক্রমণের মাত্রা মারাত্মকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। শুধুমাত্র মে মাসেই ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষের। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি হিসাবে এই তথ্য উঠে এলেও বাস্তবে কিন্তু অনেকটাই বেশি। কারণ অনেকেই বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে। যাঁদের করোনা পরীক্ষা হয়নি। তাঁদের মতে, মৃতের সংখ্যা সঠিক নির্ধারণের জন্য অডিটের প্রয়োজন রয়েছে।
ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট নামে যে সংস্থা সমীক্ষা চালিয়েছে, তাঁর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ভারতে প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রমনিয়াম। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের তরফে এই সমীক্ষা রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেও এখনও কোনও উত্তর মেলেনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন, অতিরিক্ত কত জনের মৃত্যু হয়েছে, সেই হিসাব থাকা প্রতিটি দেশেরই প্রয়োজন। কারণ, সেই হিসাব থাকলে প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এখন কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, সেটা বোঝা যেমন সহজ হবে, তেমনি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মৃত্যু হার কমানোর ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া যাবে। এর আগে নিউ ইয়র্ক টাইমসের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ভারতে ৬ লাখ মানুষের এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু নিউ টাইমসের সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।