নরেন্দ্র মোদী সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্প অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার প্রশংসা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারী চলাকালীন চরম দারিদ্র্যের বৃদ্ধি এড়াতে সাহায্য করেছে এই প্রকল্পটি। পাশাপাশি এই পেপারে আরও দাবি করা হয়েছে, ভারতে চরম দারিদ্র্য প্রায় দূর হয়ে গিয়েছে। আইএমএফ-এর পেপারটির লেখক অর্থনীতিবিদ সুরজিৎ ভাল্লা, অরবিন্দ বীরমানি এবং করণ ভাসিন। বর্তমানে দেশে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী মানুষের অনুপাত ১ শতাংশেরও কম। এমনকি মহামারী চলাকালীনও এই অনুপাত স্থিতিশীল ছিল।
আইএমএফ রিপোর্টে বলা হয়, ২০১৯ সালে ভারতে চরম দারিদ্র্য এক শতাংশেরও কম ছিল। ২০২০ সালে করোনা চলাকালীনও চরম দারিদ্র্য সেই স্তরেই ছিল। আইএমএফ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা ভারতে চরম দারিদ্র্যের মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করার মূল চাবিকাঠি। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা-র অধীনে, অভাবী লোকদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার মেয়াদ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে ভারতে ধনী এবং গরিবদের মধ্যে ব্যবধান বাড়ছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের সংজ্ঞা অনুযায়ী, দৈনিক ১.৯ ডলার সমতূল্য ক্রয় ক্ষমতা থাকলে (পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি) সেই ব্যক্তি অতি দরিদ্র সীমার উপরে। আইএমএফ রিপোর্টের গবেষকদের মতে সরকার যে খাদ্য সামগ্রী সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে, তা রীতিমতো নগদের মতো ছিল। এই পরিস্থিতিতে ভারতে অতি দারিদ্র্য প্রায় শেষ হওয়ার পথে।