প্রতীক্ষার অবসান। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করেছেন। তার পর থেকেই রাজ্য-রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে টিকাকরণ। আজ রাজ্যজুড়ে ২০৭টি কেন্দ্র থেকে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রথম দফায় মোট ২০৫০০ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন ও ৪২০০০ অটোডিসপোজাল সিরিঞ্জ পৌঁছেছে। জেলার হরিরামপুর গঙ্গারামপুর কুশমন্ডি হিলি সহ মোট ছয়টি কেন্দ্রে এই টিকাকরণের শিবির করা হয়েছে।
প্রত্যেক শিবিরের এক একটি সেশনে একশো জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রথম দফায় প্রথম দিনে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ৬৪ বছর বয়সী প্রদীপ ধরকে টিকা দিয়ে শুরু করা হয়। আজকে শুধুমাত্র চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরই টিকাকরণ হচ্ছে।
বালুরঘাটে জেলা হাসপাতলের পুরাতন অপারেশন থিয়েটারের টিকাকরণ শিবিরে উপস্থিত থাকছেন জেলাশাসক নিখিল নির্মল পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত ও মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুকুমার দে উপস্থিত আছেন।। অন্য কেন্দ্রগুলিতে সরকারি আধিকারিকেরা উপস্থিত আছেন।
এছাড়াও প্রথম ধাপে মালদহ জেলার ৮ টি কেন্দ্রে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। শনিবার প্রথম করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হল জেলার ৮ টি কেন্দ্র থেকে। মোট ৮০০ জনকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকের বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতাল, কালিয়াচক-১ নম্বর ব্লকের সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল,রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল, হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, চাঁচল মহাকুমা হাসপাতাল ও বামোনগোলা ব্লকের মুদিপুকুর গ্রামীণ হাসপাতাল। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জন করে স্বাস্থ্য কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
শনিবার মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছয় তলায় পর্যবেক্ষণ কক্ষে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রাজষি মিত্র, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শৈবাল ব্যানার্জি, মালদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
এই বিষয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শৈবাল ব্যানার্জি জানান, আজ মোট ১০০ জনকে এই টিকা দেওয়া হয়। এখনো পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার টিকাকরণের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রথম করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর নার্স কৃষ্ণা মন্ডল জানান খুব ভালো লাগছে।