করোনা মোকাবিলায় এবার কড়া হতে চলেছে এ রাজ্যও। কীভাবে করোনাকে বাগে আনা যায় তা নিয়ে এদিন বিকেলে জরুরি বৈঠক বসতে চলেছে নবান্নে। সূত্রের খবর, করোনা মোকাবিলায় কী করণীয় তা নিয়ে আলোচনায় এদিন হাজির থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন নানা ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও। লকডাউন বা নাউট কার্ফু জারি করা হলে অর্থনীতির ওপর তার কেমন প্রভাব পড়বে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে এদিনের বৈঠকে।
উল্লেখ্য, আগের দিনই জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক সারেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পরেই করোনা রুখতে একাধিক নির্দেশিকা জারি করে নবান্ন। রাজ্যের যে ১০ টি জেলায় নির্বাচন হয়ে গিয়েছে, সেই জেলাগুলিতে করোনা রুখতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে পয়লা বৈশাখ আড়ম্বরহীন ভাবে করে অনুষ্ঠানে ভিড় কমানোর দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভাকে ২৪ ঘণ্টা সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।
এছাড়া ২০২০ সালে কোভিড সংক্রমণের সর্বোচ্চ অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিলো তার থেকেও ২০ শতাংশ অধিক ব্যবস্থা তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন নিয়েও চিন্তা করছে। প্রয়োজনে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন করা হবে। জনবহুল এলাকায় অবাঞ্ছিত ভিড় এড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা মোকাবিলা ও সচেতনতায় ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রচুর প্রচার করার কথাও বলা হয়েছে।
অন্যদিকে রবিবারও রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। মোট আক্রান্তের মধ্যে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণা এই দুই জেলা মিলে আক্রান্তের সংখ্যাটা ২ হাজারের বেশি। সেখানে রাজ্যে এদিন মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৯৮ জন। অর্থাৎ কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণা এই দুই জেলাতেই আজকের নিরিখে অর্ধেক সংক্রামিত।
এমনকি পরিস্থিতি এমন হয়ে উঠেছে শহরের সরকারি হোক বা বেসরকারি, বিভিন্ন জায়গায় বেড সংকুলান দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে বেডের অপ্রতুলতার সংকটে ভুগছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। বেড সংকটে ভুগছে কলকাতার সরকারি একাধিক হাসপাতাল।