করোনাভাইরাস টিকার প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু তা নেননি। আজ (১২ নভেম্বর) থেকে এমন ব্যক্তিরা আমদাবাদ পুরনিগম পরিবহণ পরিষেবার সুযোগ পাবেন না। মিলবে না বাস র্যাপিড ট্রান্সজিট সিস্টেমের পরিষেবাও। এমনই কঠোর সিদ্ধান্ত নিল গুজরাত সরকার।
বৃহস্পতিবার গুজরাত সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা এখনও প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেননি, তাঁদের কাঁকারিয়া চিড়িয়াখানা, কাঁকারিয়া লেকফ্রন্ট এবং সবরমতী লেকফ্রন্টে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গুজরাত সরকারের নির্দেশিকাকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই বলেছে, ‘গ্রন্থাগার (লাইব্রেরি), সুইমিং পুল, এএমসি (আমদবাদ পুরনিগম) স্পোর্টস কমপ্লেক্স, শহরের নাগরিক কেন্দ্র এবং পুরনিগমের যে কোনও ভবনে প্রবেশের আগে করোনাভাইরাস টিকাকরণের শংসাপত্র পরীক্ষা করে দেখা হবে।’
এমনিতে বুধবার রাজ্যে ৪.০৯ লাখ করোনা টিকার ডোজ প্রদান করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ৭.২৮ কোটি ডোজ প্রদান করেছে গুজরাত সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুশিকেশ প্যাটেল দাবি করেছেন, ভাবনগর, সুরাত, গান্ধীনগর, জুনাগড় এবং রাজকোটের সকল বাসিন্দা ইতিমধ্যে প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। আমদাবাদ, তাপি এবং মাহিসাগরও প্রথম ডোজের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলেছে। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১০০ শতাংশ প্রথম ডোজ প্রদান করেছে ১৬,০০০-এর বেশি গ্রাম এবং পাঁচটি পুরনিগম।
গুজরাতে করোনা পরিস্থিতি
রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বুধবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪১। তার ফলে প্রায় চার মাস পরে রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪০-এর গণ্ডি ছাড়িয়েছে। সার্বিকভাবে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২৬,৮২৬। মৃত্যু হয়েছে ১০,০৯০ জনের।