এ রাজ্যে কোভিডের নতুন উপরূপ জেএন.১-এর সন্ধান এখনও মেলেনি। অন্তত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে তেমনটাই খবর। কিন্তু যে ভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে আইসিইউ-তে রোগী ভর্তিও, তাতে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নতুন উপরূপ বাংলা ঢুকে পড়ল না তো? স্বাস্থ্য দফতর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছে বলেই জানালেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
নতুন উপরূপ নিয়ে উদ্বেগে আবহে রাজ্যে বেশ কয়েক জনের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার শহরের এসএসকেএম হাসপাতালে স্বাস্থ্য সচিব জানান, কোভিড পরিস্থিতির দিকে নজর রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। আক্রান্তদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্যও পাঠানো হচ্ছে বলে জানান নারায়ণস্বরূপ। জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হলে জানা যাবে, কোভিডের কোন রূপে আক্রান্ত হয়েছিলেন রোগী।
কেরলে কোভিডের উপ-প্রজাতি জেএন.১-এর খোঁজ মিলতেই প্রতিটি রাজ্যকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের ভর্তি থাকার কথা মানছেন চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির পরিদর্শন করছেন কর্তারা। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বনেরই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্যসচিবও বলেন, ‘‘করোনা নিয়ন্ত্রণ সব চেয়ে জরুরি হল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। এটা চালিয়ে যেতেই হবে।’’