Diabetes Prevention: বাড়ছে ডায়াবিটিস আক্রান্তের সংখ্যা, সমস্যা থেকে বাঁচতে দরকার প্রযুক্তিগত সাহায্য

ভারতে ডায়াবিটিস আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। অতিমারির কারণে পরিস্থিতি আর জটিল হয়েছে। এর ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়েছে। ফলে হাঁটাচলা, কাজকর্মের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এক দিকে যেমন বেড়েছে রক্তে শর্করার মাত্রা, তেমনই ডায়াবিটিসের চিকিৎসরা জন্য যাঁরা নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যেতেন, তাঁরা আর নিয়মিত সেই কাজ করার সুযোগ পান না। ফলে সব মিলিয়ে ডায়াবিটিস জটিলত থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছে।

এমতাবস্থায় কী করা উচিত?ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

দরকার সচেতনতা বৃদ্ধি। এবং প্রযুক্তির সাহায্য। রক্তে শর্করার মাত্রা কেমন, তা নিয়মিত পরীক্ষা করার সুযোগ থাকলে অনেকেই নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন। তাতে কমে ঝুঁকি। এই পরিস্থিতিতে তাই প্রযুক্তি নির্ভর ডায়াবিটিস পরীক্ষার গুরুত্ব বাড়ছে। 

প্রয়োজন হয়েছে আরও আধুনিক ব্যবস্থারও। যদি এমন কোনও ব্যবস্থা করা যায়, রোগীর শরীরের শর্করার মাত্রা নিয়মিত চিকিৎসকদের কাছে পৌঁছে যায়, এবং চিকিৎসকরা সেই তথ্যের ভিত্তিতে তাঁদের পরামর্শ দিতে পারেন, তাহলে রোগীদের আরও উপকার হয়। 

হালে এই ধরনের পরিষেবার সুযোগ করে দিচ্ছে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। অ্যাবটের মতো সংস্থা এগিয়ে আসছে এই ধরনের কাজে। এই সংস্থার অন্যতম প্রধান কল্যাণ সাত্তারুর মতে, দীর্ঘ দিনের গবেষণার ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং তার পর্যবেক্ষণ এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। 

এই ধরনের আর এক সংস্থার কর্ণধার মদন সোমাসুন্দরামের মতে, আমাদের লক্ষ্য হল, দীর্ঘস্থায়ী রোগীদের আরও ভালো এবং স্বাস্থ্যকর জীবন দেওয়া। এই ধরনের অসুখগুলিকে কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতা দেওয়া। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি মাত্রায় ব্যবহার করা। 

আগামী দিনে এভাবেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে বহু মানুষের ডায়াবিটিসের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই। আগে থেকে অনেকেই টের পাবেন, রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়াবাড়ি জায়গায় যাচ্ছে কি না। এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.