জ়িরো-কোভিড পলিসি সত্ত্বেও করোনার বাড়বাড়ন্ত চিনে, এক দিনে আক্রান্ত সর্বাধিক

নভেল করোনাভাইরাস প্রথম চিহ্নিত হয় চিনে। প্রথম লকডাউন কী, তা-ও জানতে পারেন এ দেশের মানুষই। কিন্তু গোটা অতিমারি পর্বে বিশ্ব জুড়ে যে লক্ষ লক্ষ মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে চিনে কমই প্রাণহানি ঘটেছে। দীর্ঘ লকডাউন, গণহারে করোনা-পরীক্ষা, পর্যটনে কড়াকড়ি, সীমান্ত বন্ধ রাখা— এ সবই তার কারণ জানিয়েছে বেজিং প্রশাসন। এমনকি এখনও করোনা-শূন্য নীতি মেনে চলছিল চিন। অর্থাৎ দেশে করোনা সংক্রমণ শূন্য না হওয়া ইস্তক কড়াকড়ি বজায় থাকবে, তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছিল সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংক্রমণ এখন ঊর্ধ্বমুখী। সাম্প্রতিক কালে গোটা বিশ্বে কোভিড সংক্রমণ অনেকটা কমে গিয়েছে। যদিও এ সময়ই সংক্রমণ বেড়েছে চিনে। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দৈনিক সংক্রমণ এখন সর্বোচ্চ। বুধবার ৩১,৪৫৪ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। অতিমারি পর্বে চিনে এটিই সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ।

কিছু সংক্রমণ বাইরে থেকে ঘটেছে। বাকি ৩১,৪৪৪টি স্থানীয় সংক্রমণ। এর মধ্যে ৩৯২৭ জন সংক্রমিতের উপসর্গ ছিল। বাকি ২৭,৫১৭ জন উপসর্গহীন।

সম্প্রতি শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এ বারে কড়াকড়ি কমানো হবে দেশে। এত দিন জ়িরো-কোভিড পলিসি থেকে এতটুকু সরেনি বেজিং। নিয়ম ভাঙলে শাস্তিও বরাদ্দ ছিল মানুষের কপালে। কিছু দিন আগে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বারে কিছুটা লঘু করা হবে করোনা-নীতি। কিন্তু যে হারে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে, তাতে বেজিং-সহ ঘন জনবসিতসম্পন্ন শহরগুলো ফের ‘তালাবন্ধ’ হওয়ার মুখে। দোকান-বাজারও হয়তো বন্ধ করা হবে। অফিসগুলোর কাজকর্ম স্বাভাবিক হয়েছিল সম্প্রতি। এ বার হয়তো বাড়ি থেকে কাজ করার বিষয়ে ফের জোর দেওয়া হবে। বেজিংয়ে শপিং মল, পার্কগুলি ফের বন্ধ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে বলা হচ্ছে, যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকতে। শাংহাইয়ে সম্মেলন বাতিল করা হয়েছে। চেংদু শহরে মঙ্গলবার ৪২৮ জনের করোনা ধরা পড়ার পরে গণপরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.