কলকাতায় ডেঙ্গির বলি আরও এক জন। মঙ্গলবার বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু হল ২৮ বছরের এক তরুণীর। তিনি নেতাজি নগরের বাসিন্দার। দিন কয়েক আগে বাঙুরেই মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গি আক্রান্ত ১২ বছরের এক কিশোরীর। সে ছিল বিজয়গড়ের বাসিন্দা। মঙ্গলবার এই তরুণীর মৃত্যুর পর ওই এলাকার পরিচ্ছন্নতা এবং ডেঙ্গি সচেতনতা প্রশ্নের মুখে।
মৃতার নাম প্রিয়া রায়। সোমবার সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সিসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই তরুণীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় আনা হয়েছিল। ডেঙ্গি শক সিনড্রোমও ছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যে রোজ বেড়েই চলেছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ— একই ছবি। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের পরামর্শ, রোগীর যদি ডেঙ্গির উপসর্গ থাকে, তা হলে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে প্লেটলেট পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার। এখন সরকারি হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন সরকারি কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে ডেঙ্গি পরীক্ষাকেন্দ্র।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর বাঙুরে মৃত্যু হয় ডেঙ্গি আক্রান্ত ডোনা দাসের। তার বয়স ছিল ১২ বছর। দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ের বাসিন্দা ছিল সে। গত শনিবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয় ডোনা। ওই দিন ২টো নাগাদ তাকে বাঙ্গুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সিসিইউতে নিয়ে যাওয়ার আগে জরুরি বিভাগেই মৃত্যু হয় কিশোরীর।