বিশ্বজুড়ে বিশেষ করে চিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সতর্ক হয়েছে ভারত। চিনে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য উচ্চ সংক্রমণশীল ওমিক্রন প্রজাতি প্রধানত বিএ.৫.২ এবং বিএফ৭ এর জন্য দায়ী। এই প্রজাতি ভারতেও পাওয়া গিয়েছে। তারপর থেকেই চতুর্থ ওয়েভের জন্য দেশ প্রস্তুতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছে। স্বাভাবিকভাবেই সবার মাথায় প্রশ্ন আসছে চিনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া বিএফ.৭ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে ভারতীয়দের কি চিন্তিত হওয়া উচিত? পরিস্থিতি বোঝার জন্য জি নিউজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডঃ মিশেল রাইনের সঙ্গে কথা বলেছে।
ডঃ রায়ান বলেন, চিনে কোভিড ভ্যাকসিন কভারেজ কম ছিল। ৬০ বছরের বেশি বয়সি অনেক মানুষের টিকাদান সম্পূর্ণ হয়নি। তিনটি ডোজ-সহ বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন থাকলেও এই কোর্সটি চিনে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, যদিও চিন এখন তার টিকাদান প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করছে, তবুও এই পদক্ষেপ কিভাবে সাহায্য করবে তা দেখার বিষয়।
সিএসআইআর-এর প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ রাজেশ পান্ডের মতে, যদি ভারতের বিশাল জনসংখ্যাকে টিকা দেওয়া না হত, তাহলে ওমিক্রন বিএফ৭ এর এই রূপটি বেশ বিপজ্জনক বলে প্রমাণিত হত। তবে সেই বিপদ এত বড় নয় কারণ ভারত টিকাদান কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বুস্টার ডোজ চালু করেছে। তিনি বলেন, ভারতে টিকাকরণের মান চিনের তুলনায় অনেক কম এবং ভারতীয় টিকাগুলি যথেষ্ট কার্যকারিতা এবং আশা করা হচ্ছে বিএফ৭-এর বিরুদ্ধে জনগণকে রক্ষা করবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডভিয়া বুধবার দেশের শীর্ষ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলায় ভারতের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষের পরে মনসুখ ট্যুইট করেন, “কোভিড এখনও চলে যায়নি। বিশ্বের বেশ কিছু দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। সেই কারণে, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আধিকারিক এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করলাম। নজরদারি বাড়ানোর উপরে জোর দেওয়ার কথা বলেছি। যে কোনও পরিস্থিতি সামলাতে আমরা প্রস্তুত।”
বর্তমানে ভারতে রোজ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন ১৪৫ জন। এর মধ্য়ে Omicron BF.7-এ আক্রান্ত গড়ে ৪ জন। মনে রাখতে হবে করোনার এই ভ্যারিয়্যান্টটি অত্যন্ত সংক্রমক। এর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ মিলিয়ে রোজ ৫.৩৭ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। পরিস্থিতি যে জায়গায় যাচ্ছে তাকে দেশের স্কুল-কলেজগুলি এখনই বন্ধ না হলেও ফিরতে চলেছে কড়া বিধিনিষেধ। এনিয়ে এখনও কিছু বলেনি কেন্দ্র।