যেভাবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে তাতে রীতিমতন বেগ পেতে হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরকে। এহেনপরিস্থিতিতে এইমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়ার মন্তব্য ভয় ধরালো সাধারণকে। তিনি জানালেন, একবার করোনা ভ্যাকসিন নিলে আপনি আট থেকে দশ মাস পর্যন্ত সংক্রমণ মুক্ত থাকবেন। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তিনি আরো বলেন, মানুষ ভাবছে মহামারী শেষ হয়ে গিয়েছে।মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এটাই সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণের একাধিক কারণ রয়েছে, তবে মূল কারণ হল লোকের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন এসেছে এবং তারা মনে করেন করোন ভাইরাস শেষ হয়ে গেছে।NITI আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল বলেছেন, সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে হবে এবং তার জন্য ভ্যাকসিন প্রধান হাতিয়ার তবে নজরদারি বাড়াতে হবে, সামাজিক সুরক্ষাবিধি মানতে হবে।যদি আমাদের চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিনের সরবরাহ থাকত তবে আমরা সবার জন্য টিকা চালু করে দিতাম।প্রত্যেকে ভ্যাকসিন পাচ্ছে না।
দক্ষিণের রাজ্য কেরল, কর্নাটক ও তামিলনাড়ুতে সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার নিতে শুরু করেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর মোকাবিলায় কার্যত দিশেহারা অবস্থা মহারাষ্ট্রের। পরপর দু’দিন রাজ্যে ২৫ হাজারের বেশি সংক্রমণ।নাগপুরে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি হয়েছে। ইন্দোর, ভোপাল, সুরাত, রাজকোট, আহমেদাবাদ এবং ভাদোদরায় আবার নৈশ কারফিউ জারি করা হয়েছে। এই পদক্ষেপই জানান দেয়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কতটা বিপজ্জনক। শুধুমাত্র গতকালই দেশজুড়ে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
দেশজুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি চালু হয়েছে। লক্ষ্য ছিল, প্রথম দফায় ৫০ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হবে কিন্তু এই লক্ষ্যের কেবলমাত্র ৭ শতাংশই এখনও পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি বলেছে যে বর্তমান গতিতে চললে গোটা দেশবাসীকে টিকা দিতে সাত বছর সময় লেগে যাবে। বৈজ্ঞানিকরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন যে, টিকাকরণে দেরি হলে ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের উদ্ভব হবে।টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকে দুই মাস কেটে গিয়েছে, যা কোনও মহাযজ্ঞের থেকে কম ছিল না। এখনও পর্যন্ত অন্তত সাড়ে তিন কোটি মানুষের টিকাকরণ হয়েছে।