করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে টিকা নিতেই হবে। এমন কথা অনেক দিন ধরেই বলছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে বেড়েছে ওমিক্রনের মতো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্ক। এই ওমিক্রনের উপর টিকার প্রভাব কেমন? এই প্রশ্ন অনেক দিন ধরেই উঠছে। যদিও এর সঠিক উত্তর এখনও অজানা বিজ্ঞানীদের কাছে। তবু টিকা নেওয়াই যে সবচেয়ে ভালো রাস্তা, সে বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই।
কিন্তু টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া হয়ে গেলেই কি করোনার অ্যান্টিবডি সারা জীবনের মতো শরীরে থেকে যাবে? তা মোটেই নয়। তার মেয়াদকাল আছে। সম্প্রতি আইসিএমআর-এর প্রধান বলরাম ভার্গভ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, টিকা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। আবার যাঁদের করোনা সংক্রমণ হয়েছে, তাঁদের শরীরে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়। এই দুইয়ের মেলবন্ধনে শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, সেটি তুলনামূলক ভাবে জোরদার হয়। অর্থাৎ যাঁরা একবার কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, এবং টিকার দু’টি ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডির ক্ষমতা অনেক বেশি। এবং সেই অ্যান্টিবডির আয়ুও অনেক বেশি।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কিন্তু ভ্যাকসিন থেকে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি কত দিন থাকতে পারে শরীরে? এরও উত্তর দেওয়া হয়েছে সরকারি ভাবে। বলা হয়েছে, ৯ মাস বা তার বেশি সময় পর্যন্ত শরীরে এই অ্যান্টিবডি থেকে যেতে পারে। নির্ভর করছে, তার শরীরের অবস্থা কেমন, তার ওপর।
জানুয়ারি থেকে Precaution Dose বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হবে। ষাটোর্ধ্ব যাঁদের জটিল অসুখ রয়েছে, এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এই ডোজ পাবেন। এতে টিকা থেকে পাওয়া অ্যান্টিবডির আয়ু আরও বাড়বে বলে আশা বিজ্ঞানীদের। এতে করোনাকে আরও ভালো করে প্রতিরোধ করার সম্ভাবনা রীতিমতো উজ্জ্বল।