করোনায় অক্সিজেনের মাত্রা ভাবাচ্ছে। বাড়িতে রোগীর চিকিৎসা চললেও চিন্তা থাকছে, অক্সিজেন প্রয়োজন হলে, ঠিক কী করবেন। সে সময়ে কি রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন, না কি বাড়িতেই ব্যবস্থা করবেন। অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরও কিনছেন কেউ কেউ। তবে তা ব্যবহার করতে হবে ঠিক কখন?
পরিস্থিতি বুঝে নেওয়ার জন্য সাধারণ একটি উপায় অবলম্বন করা যায় বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। অক্সিজেনের মাত্রা কত দ্রুত পড়ছে, তা দেখা যায় মিনিট ছয়েক হেঁটে। যদি হাঁটার আগে ও পরে রোগীর অক্সিজেনের মাত্রায় বেশি ফারাক থাকে, তবে নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এমন হতেই পারে যে তিনি বলবেন, হাসপাতালে শয্যার খোঁজ শুরু করতে হবে।
চিকিৎসকেরা বলে থাকেন ৯৪-এর নীচে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে গেলে তখন কৃত্রিম উপায়ে তা বাড়ানোর চেষ্টা শুরু হতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি ৯৫ আর ৯৯-এর মধ্যে থাকে সেই মাত্রা। জেনে রাখা জরুরি, কোনও উপায়েই রাতারাতি বেড়ে যায় না অক্সিজেনের মাত্রা। কোভিড রোগীর ক্ষেত্রে আত্মীয়দের খেয়াল রখাতে হবে যাতে অক্সিজেন দেওয়া শুরুর পরে অন্তত ৯২ পর্যন্ত পৌঁছয় সেই মাত্রা। বাড়িতে রেখেই যদি অক্সিজেন চালানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক, তখন কয়েকটি কথা মাথায় রাখা জরুরি।
প্রথমত বাড়িতে অক্সিজেন দিচ্ছেন মানেই যত ইচ্ছা দেওয়া হবে, তা ঠিক নয়। কতক্ষণে কত লিটার অক্সিজেন চালানো হবে, তা চিকিৎসকের নির্দেশ মতো করা জরুরি। না হলে রোগীর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অক্সিজেন চালানো শুরু হলে খেয়াল রাখতে হবে রোগী তা ঠিক ভাবে নিতে পারছেন কি না। সকলের শরীর এক ভাবে নেয় না কোনও কিছুই।
সকলেই কি অক্সিজেন কনসেন্ট্রের ব্যবহার করতে পারেন?
অধিকাংশ চিকিৎসকের মত, ৯০-৯৪ মতো যদি থাকে অক্সিজেনের মাত্রা, তবে পারেন। তা-ও চিকিৎসকের মত নেওয়ার পরে। তবে তার বেশি নেমে গেলে হাসপাতালে যাওয়াই জরুরি বলে মনে করেন ডাক্তারেরা।