দেশের নিম্নমুখী কোভিড (COVID-19) গ্রাফে স্বস্তির মাঝে ফের আশঙ্কার কাঁটা। ফের লাফিয়ে বাড়ল করোনায় মৃত্যুর হার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের নতুন করো করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৪০৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮০৪ জনের। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল সাড়ে ছ’শোর সামান্য বেশি। তবে শুক্রবারের তুলনায় সংক্রমণ কমেছে প্রায় ৭ হাজার। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯৬২ জন। পজিটিভিটি রেট এই মুহূর্তে ৩.৪৮ শতাংশ।
তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে দেশে কমছে করোনা অ্যাকটিভ কেসও (Active cases)। এই মুহূর্তে তা ৬ লক্ষ ১০ হাজার ৪৪৩। মোট আক্রান্তের ১.৪৩ শতাংশ, যে হার যথেষ্ট স্বস্তিজনক বলেই মত স্বাস্থ্যমহলের। এ নিয়ে দেশে করোনার বলি মোট ৫ লক্ষ ৭ হাজার ৯৮১জন। যা ৮৭ হাজার ৩৫৯ কম শুক্রবারের তুলনায়। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.৩৭ শতাংশ।
সংক্রমণের পরিসংখ্যানে নজর রাখলে বোঝা যায়, তালিকার শীর্ষে রয়েছে কেরল (Kerala)। তারপরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, রাজস্থানের সংক্রমণের হার। দৈনিক সংক্রমণের ৩১.২২ শতাংশই কেরলের। করোনা রুখতে দেশে জোরকদমে চলছে টিকাকরণ। ১৭২ কোটিরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছন। নতুন করে ন্যাজাল ভ্যাকসিন ও স্পুটনিক লাইট – সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিনও অনুমোদন পেয়েছে।
এছাড়া করোনার প্রকোপ ধীরে ধীরে কমতে থাকায় বিদেশিদের জন্য নিয়ম শিথিল করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নয়া গাইডলাইনস অনুযায়ী,বিদেশ থেকে এলে ৭ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক নয়। বরং ১৪ দিন ‘সেলফ মনিটরিং’-এ থাকতে হবে বলছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বিমানে ওঠার আগে অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে করা আরটিপিসিআর -এর রিপোর্ট ‘এয়ার সুবিধা’ পোর্টালে আপলোড করতে হবে। তবে এর পরিবর্তে করোনার প্রাথমিক টিকাকরণের সার্টিফিকেটও জমা করা যেতে পারে। অর্থাৎ ভ্যাকিসন নেওয়া থাকলে আরটিপিসিআর রিপোর্ট ছাড়াই বিমানে উঠতে পারবেন যাত্রীরা। উল্লেখ্য, এই নিয়ম শুধুমাত্র আমেরিকা, ব্রিটেন, বাংলাদেশের মতো মোট ৭২টি দেশের জন্য প্রযোজ্য। নয়া নিয়মবিধি ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।