যেসব ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, পরে সুস্থ হয়েছেন, আগামী চার মাস তাঁদের আর করোনা হওয়ার আশঙ্কা নেই। এমনই তথ্য দিচ্ছে বিশেষ রিপোর্ট। বিজ্ঞানীরা বলছেন সুস্থ হওয়ার পরের চার মাস পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকবেন তাঁরা। নতুন করে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তাঁদের নেই।
সায়েন্স ইম্যুউনোলজি নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত এক সমীক্ষাপত্র জানাচ্ছে করোনা আক্রান্তদের শরীরে তৈরি হচ্ছে অ্যান্টিবডি, যা ক্রমশ সুস্থ হওয়া মানুষকে সুরক্ষা দেবে চার মাস পর্যন্ত। তাই তাঁদের নতুন করে সংক্রমণের ভয় নেই। গবেষকদের দাবি যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, তা চার মাস পর্যন্ত করোনা মোকাবিলা করবে, শরীরকে রক্ষা করবে সংক্রমণ থেকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক ও ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটালের চিকিৎসক রিচেল চার্লস জানাচ্ছেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হিসেবে আমাদের শরীর যে প্রোটিন তৈরি করে, তাই আদপে অ্যান্টিবডি। তবে এই অ্যান্টিবডি মানুষের শরীরে কতদিন সক্রিয় থাকবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। গবেষণায় জানা গিয়েছে, এই অ্যান্টিবডি করোনা থেকে সুস্থ হওয়া মানুষের শরীরে চার মাস পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে।
এই গবেষণা চালাতে ৩৪৩ জন রোগীর শরীর থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে সমীক্ষাক দল। এর মধ্যে বেশিরভাগই করোনা আক্রান্ত হিসেবে জটিল পরিস্থিতিতে ছিলেন। রক্তের প্লাজমা নিয়ে গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মানব দেহের কোষে কীভাবে ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন কাজ করছে ও বিস্তার লাভ করছে তা নিয়েই পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন তাঁরা।
চার্লস জানান, বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টিবডির খোঁজ মিলেছে প্লাজমাতে। সেই সংক্রান্ত আরও পরীক্ষা চলছে। গবেষকরা জানান করোনা আক্রান্ত রোগীর প্লাজমায় ইম্যুউনোগ্লোবিন নামে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি বেশ সক্রিয়। যে ব্যক্তি ১৪দিন ধরে করোনা আক্রান্ত, তার শরীরে এই অ্যান্টিবডির পরিমাণ বেশি।
এদিকে, দেশে ফের লাফিয়ে বাড়ল করোনা। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হলেন আরও ৭৩ হাজার ২৭২ জন। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৯২৬ জনের।
নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে দেশে মোট সংক্রামিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪২৪। মোট আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫৯ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮২৩ জন। অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৮ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৮৫ টি ও দেশজুড়ে এখন করোনায় মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৭ হাজার ৪১৬ জন।