কমছে ফাইজারের করোনা টিকার কার্যকারিতা। ইজারেয়েলের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই এক তথ্য। ইজরায়েলে ডেল্টা ভাইরাসের সংক্রমণ ও লকডাউন বিধি উঠে যাওয়ার পরে একাধিক চিকিৎসার ফলাফলে দেখা গিয়েছে, কমেছে ফাইজারের টিকার ক্ষমতা। সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসাবেই এই তথ্য ধরা পড়েছে। পাশাপাশি গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে রোধ করার ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকবার অসফল হয়েছে ফাইজার, যদিও সেই সংখ্যা খুবই কম। এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রচার শুরু হলেও আলাদা করে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি ইজরায়েলের সরকার।
যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে লকডাউন ছিল যখন, অর্থাৎ ২ মে থেকে ৫ জুনের মধ্যে ফাইজারের হাসপাতালে যাওয়া রুখে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল ৯৮ শতাংশের উপরে। কিন্তু যখন লকডাউন উঠে গেল, তখন সংখ্যাটা এক ধাক্কায় নেমে এসেছে ৯৩ শতাংশে। করোনা থেকে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার শতাংশের হিসাবেও কার্যকারিতা কমার উদাহরণ দেখা গিয়েছে। কিন্তু সব মিলিয়ে টিকার কার্যকারিতাতেও অনেকটা পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। যেখানে মে মাসের ২ থেকে জুন মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত টিকার কার্যকারিতা ছিল ৯৪.৩ শতাংশ, সেখানে জুন মাসের ৬ তারিখের পর থেকে ফাইজারের টিকার কার্যকারিতা দাঁড়িয়েছে ৬৪ শতাংশ।
যাঁরা টিকা পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও সংক্রমণও হুহু করে বাড়ছে ইজরায়েলে। তবে সেই তুলনায় ধীর গতিতে বাড়ছে গুরুতর অসুস্থের সংখ্যা। গত শুক্রবার, সাপ্তাহিক হিসাব করে দেখা গিয়েছে, নতুন সংক্রমিতদের মধ্যে ৫৫ শতাংশকেই টিকা দেওয়া হয়েছে।