চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যেই জরুরি ব্যবহারের তালিকায় কোভাক্সিনকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। শুক্রবার একটি ওয়েবিনারে এ কথা বলেন সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। তিনি বলেন, ভারত বায়োটেক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পোর্টালে টিকা সংক্রান্ত সব তথ্য আপলোড করছে, তাই কোভাক্সিনের কার্যকারিতা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
কোভ্যাক্সিন নিয়ে হু-র থেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ভারত বায়োটেক। ইতিমধ্যেই হু-র কাছে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য জমা দিয়েছে হায়দরাবাদের সংস্থাটি। এই বিষয়ে সৌম্যা বলেন, ‘‘জরুরি ব্যবহারের তালিকায় কোনও ওষুধ বা টিকাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চলতে হয়। টিকা তৈরি করা যে কোনও সংস্থাকে তিন ধাপের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে এবং পুরো তথ্য নিয়ন্ত্রক বিভাগে জমা দিতে হবে। সেই তথ্য আবার বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখবেন। যার মধ্যে রয়েছে টিকার সুরক্ষা, কার্যকারিতা এবং উত্পাদনের মান। ভারত বায়োটেক ইতিমধ্যেই তথ্য জমা দিয়েছে। সুতরাং, আমি আশা করছি, চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে কোভ্যাক্সিনের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’’
কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য প্রকাশ করে সম্প্রতি ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, করোনার উপসর্গযুক্তদের ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকর কোভ্যাক্সিন। যাঁদের অতিমাত্রায় উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে তা ৯৩.৪ শতাংশ কার্যকরী। সেই সঙ্গে, ডেল্টা রূপের বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিন ৬৫.২ শতাংশ প্রতিরোধী বলেও দাবি সংস্থার।