মঙ্গলবার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত চারশোর গণ্ডি পার করেছিল। বুধবার তা কমে নামল তিনশোর নীচে। কিন্তু দৈনিক সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখীই রয়েছে। গত সোমবার তা চার শতাংশ ছাড়িয়েছিল। বাড়তে বাড়তে এ বার তা পৌঁছে গেল পাঁচ শতাংশের কাছাকাছি। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারাও। প্রশাসনের তরফে বার বার কোভিডবিধি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে দু’জন কোভিড রোগীরও মৃত্যু হয়েছে।
বিগত কয়েক দিন ধরেই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে। মাস তিনেক পর গত ১০ জুন রাজ্যে দৈনিক আক্রান্ত একশো ছাড়িয়েছিল। তার পর থেকে তা ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার সেই সংখ্যা পৌঁছেছিল ৪০৬-এ। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৫ জন। এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ ২২ হাজার ৮৪২ জন।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ২১০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৬ হাজার ৭৮ জনের। রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়াল ২ হাজার ৪৪৬।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)