স্বস্তির খবর শোনালেন AIIMS প্রধান ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। করোনার সেকেন্ড ওয়েভ বিদায়ের পথে। সংক্রমণের তৃতীয় ধাক্কা আরও সাংঘাতিক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে AIIMS-এর অধিকর্তা ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়ার মতে, দেশে করোনার তৃতীয় ধাক্কা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো এতটা বিপজ্জনক নাও হতে পারে। শনিবার সকালে সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘তৃতীয় ধাক্কা মোকাবিলার ক্ষেত্রে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’’
করোনার তৃতীয় ঢেউ আরও বেশি মারাত্মক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যা নিয়ে বারবার সতর্ক করে চলেছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্যে-রাজ্যে ইতিমধ্যেই সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার তৎপরতা শুরু হয়েছে। একাধিক হাসপাতালে শিশুদের জন্য ইতিমধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে আলাদা ওয়ার্ড। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও সংক্রমণের তৃতীয় ধাক্কা মোকাবিলার জন্য রাজ্যগুলিকে এখন থেকেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই আবহেই শনিবার সকালে কিছুটা স্বস্তির খবর শোনালেন AIIMS-এর অধিকর্তা ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘করোনার তৃতীয় ঢেউ দ্বিতীয়টির চেয়ে আরও তীব্র হবে কিনা তা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে। তবে আমার ধারণা, সংক্রমণের পরবর্তী পর্যায়টি দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো এত মারাত্মক হবে না।’’ এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিদায়ের পথে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট। অত্যন্ত সংক্রামক এই ভাইরাসের হদিশ ইতিমধ্যেই মিলেছে দেশের একাধিক রাজ্যে। করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৮। কেন্দ্রের তরফে করোনার এই নয়া ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। AIIMS-এর প্রধান ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়াও করোনার এই ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকার করোনার এই নয়া প্রজাতির ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া করোনা পরিসংখ্যান কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ নেমেছে ৫০ হাজারের নীচে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোটা দেশে নতুন করে করোনায় কাবু হয়েছেন ৪৮ হাজার ৬৯৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার বলি ১১৮৩। সব মিলিয়ে শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ কোটি ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৪৩। ইতিমধ্যেই ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৫ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। করোনায় এখনও পর্যন্ত দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪৯৩ জনের। এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৬৫।