করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: বাড়ির শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে জেনে নিন কয়েকটি তথ্য

দ্বিতীয় ঢেউয়ে কোভিড আরও কতটা ক্ষতি করছে, তা নিয়ে চিন্তিত সকলে। নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মনের মধ্যে। নতুন অভিজ্ঞাও হচ্ছে। তার থেকে তৈরি হচ্ছে নতুন আশঙ্কা। সব মিলে কাজ করছে কত রকম অনিশ্চয়তা। এমন সময়ে বাড়ির শিশুটিকে কী ভাবে দেখে রাখা যাবে? তার কি করোনা হলে পরীক্ষা করা যাবে? এমন নানা চিন্তা মনে এলে কী করতে হবে, জেনে নিন। চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, সকলেই সাহায্য করেছেন সেই উত্তর খুঁজতে।

দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনাভাইরাস কি আরও বেশি ছোঁয়াচে হয়ে উঠেছে?

সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে রোজ। আর দেখা যাচ্ছে, পরিবারে একজনের হলে তাঁর থেকে ছড়িয়ে পড়ছে সকলের মধ্যে। ফলে এবার ভাইরাস আগের চেয়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে বলেই মত চিকিৎসকেদের।

শিশুদের মধ্যে কি বেশি ছড়াচ্ছে সংক্রমণ?

পরিসংখ্যান তেমনই বলছে। এবার ভাইরাস বেশি সক্রিয়। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বাড়ির বড়রা সাবধান হওয়ার আগেই চলে যাচ্ছে শিশুর শরীরেও। তা ছাড়া, এবার পরীক্ষা হচ্ছে বেশি। ফলে আগের বারের চেয়ে অনেক বেশি শিশুর রিপোর্ট পজিটিভ আসছে।

পরিবারের একজনের করোনা হলেই কি বাকিদের সকলের পরীক্ষা করা দরকার? পরীক্ষা করাতে হবে কি শিশুটিরও?

সকলেরই পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি। প্রথমত, তবে সাবধানে থাকা সম্ভব হবে। আর অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি নেবে না রিপোর্ট ছাড়া। ফলে শুরুতেই পরীক্ষা করে নেওয়া ভাল।

কোনও শিশু কোভিড আক্রান্ত বলে মনে হলে কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা করাতে হবে?

আরটি-পিসিআর বেছে নেওয়াই ভাল। শিশুদের বারবার পরীক্ষা করানো মুশকিল। আর এই পদ্ধতিতে ঠিক রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি।

বাড়ির শিশুটি কোভিড আক্রান্ত হলে কোন দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে?

শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বর মাপতে বলা হচ্ছে বারবার। সঙ্গে অক্সিজেনের মাত্রা দেখতে হবে। শ্বাস নিতে কষ্ট হলে যোগাযোগ করতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে।

শিশুদের থেকে কি সত্যিই বেশি ছড়াচ্ছে ভাইরাস?

একেবারেই তাই। ফলে বাড়ির শিশুটি সংক্রমিত হয়েছে জানতে পারলে তার থেকে দূরে থাকতে হবে বৃদ্ধদের। কো-মর্বিডিটি যাদের রয়েছে, বেশি সাবধান হতে হবে তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.