পরীক্ষাগার থেকে ভাইরাস লিক হয়ে যাওয়ার তত্ত্ব নাকচ করে দিল WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দল COVID-19 সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা করতে মঙ্গলবার ইউহান পৌঁছয়। ওই দলের গবেষকরা জানিয়েছেন ভাইরাসের ‘ল্যাব লিক’ তত্ত্ব একেবারে ভিত্তিহীন। এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি।
খাদ্যের সুরক্ষা বিষয়ক ড্যানিশ বিশেষজ্ঞ পিটার বেন এমব্রেক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের এই দলকে পরিচাললিত করছে। এক মার্কিন সংবাদপত্রে জানানো হয়েছে, ভাইরাসের পরীক্ষাগার থেকে দুর্ঘটনাবশত লিক হওয়া নিয়ে তাঁদের আর গবেষণা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমব্রেক বলেছেন, ১২ দিন চিনের ওই শহরে তাদের গবেষণা করার কথা ছিল। দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে সমস্ত গবেষক ও ম্যানেজমেন্টের সঙ্গেও আলোচনা করার কথা ছিল। এমনকী ইউহান ইনস্টিটিউড অফ ভাইরোলজির সঙ্গেও আলোচনা করার কথা ছিল তাঁদের।
WHO এক্সপার্ট জানিয়েছেন, আমাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে অনুযায়ী কোনও মধ্যস্থতাকারী প্রজাতির মধ্য দিয়ে এটি এসেছে। কিন্তু এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আরও অধ্যয়ন এবং আরও নির্দিষ্ট টার্গেট রিসার্চের প্রয়োজন। এই অনুসন্ধানগুলি দেখাচ্ছে যে পরীক্ষাগারের ঘটনা ঘটার অনুমানটি একেবারে অসম্ভব। মানুষের মধ্যে ভাইরাস কীভাবে প্রবেশ করল তার ব্যাখ্যা দিতে পারছে না এই তত্ত্ব। দলের ব্রিটিশ সদস্য পিটার ডাসজ্যাক ইউহান ইনস্টিটিউড অফ ভাইরোলজির সঙ্গে যুক্ত। তিনি জানিয়েছেন, ১৭ জন সদস্য বিশিষ্ট এই দলের ল্যাবরেটরি থিওরি ভিত্তিহীন বলার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত ছিল।
এই টিম ভাইরাস ছড়ানোর চারটি তত্ত্ব তৈরি করেছেন। প্রথমটি সরাসরি জুনোটিক স্পিলওভার; দ্বিতীয়টি প্রথম সংক্রমিতের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ; তৃতীয়টি খাবারের কারণে, সারফেস ট্রান্সমিশন বা হিমায়িত খাদ্যপণ্য থেকে; চতুর্থটি ল্যাবরেটরির ঘটনা। তবে শেষের অনুমানটি কোনওভাবেই খাটছে না। কীভাবে সেটি মানুষের সংস্পর্শে এল তা ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না। এই রোগের সম্ভাব্য বাহক হিসাবে কোনও প্রাণীকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। দেশের কোনও প্রজাতির প্রাণীর শরীরে এই ভাইরাস ছিল বলেও মনে করা হচ্ছে না।
২০১৯ সালে ইউহানে নিউমোনিয়ার মতো একটি উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। সেটি নিয়েই WHO-এর গবেষকরা গবেষণা করছেন। এটি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে জড়িত হতে পারে বলে অনুমান। এটিই পরে বিশ্বব্যাপী মহামারীর সৃষ্টি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে যাতে এখও পর্যন্ত ১.৫ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে ও ৯০ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।