করোনা টিকার দু’টি ডোজের মধ্যে ব্যবধান বেড়েছে। এবং একটি মাত্র ডোজ যে সংক্রমণ ঠেকাতে পারে না, তাও পরিষ্কার। ফলে একটা আশঙ্কা থেকেই যায়, প্রথম ডোজ-টি নেওয়ার পরে কেউ আক্রান্ত হতেই পারেন। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ কখন নেবেন? নেওয়ার আগেই বা কোন কোন জিনিস মাথায় রাখবেন? অনেকের মনেই এই প্রশ্নগুলি ঘুরছে। দেখে নেওয়া যাক তার উত্তর।
সংক্রমণের আশঙ্কা কতটা: টিকার একটি ডোজ কোনও ভাবেই যথেষ্ট নয়। এ কথা অনেক ধরেই বলছেন চিকিৎসকেরা। অর্থাৎ টিকার একটি ডোজ নেওয়ার পর সংক্রমণ হতেই পারে। যদিও একটি ডোজ নিলেও তার ১৪ দিনের মধ্যে থেকেই শরীরে টিকার প্রভাব শুরু হয় বলে দাবি করা হচ্ছে। তাই সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা হলেও কম থাকতে পারে।
একটা ডোজে কতটা সুরক্ষা: কোভিশিল্ডের মতো টিকার ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে প্রথম ডোজ-টি নেওয়ার পর ৪৮ শতাংশ মতো কমে সংক্রমণের ঝুঁকি। অন্যকে সংক্রমিত করার হারও কিছুটা কমে। অন্যান্য টিকার ক্ষেত্রেও তা কমবেশি একই রকম।
মনে রাখতে হবে: টিকার প্রথম ডোজ শরীরে কিছুটা অ্যান্টিবডি তৈরি করবেই। ঠিক তেমন ভাবেই সংক্রমণও ওই ভাইরাসটির অ্যান্টিবডি তৈরি করে দেবে। কিন্তু তার মানে এই নয়, টিকার একটি ডোজ নেওয়ার পরে সংক্রমণ হলে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং উল্টোটাই। দ্বিতীয় ডোজটিও সে ক্ষেত্রে নিতে হবে। এবং এ ভাবে যে রোগ প্রতিরোধ শক্তিটি গড়ে উঠবে, সেটা কোভিড মোকাবিলায় সবচেয়ে কার্যকর।
কখন দ্বিতীয় ডোজ: অনেকেই ভাবেন একটি ডোজ নেওয়ার পর সংক্রমিত হলে দ্বিতীয় ডোজ নেবেন না। সেটি করা যাবে না। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজটি নেওয়ার তারিখটি বদল করা যেতে পারে। সরকারি বিধি মেনে একবার সুস্থ হয়ে ওঠার যত দিন পরে টিকা নেওয়ার কথা, সেই সময়েই টিকা নিতে হবে।