করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) প্রকোপে এবার ঝড়ের গতিতে বীমার আবেদনপত্র জমা পড়ল বীমা সংস্থাগুলির কাছে। বীমা সংস্থাগুলির (Insurance company) উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঠিক এমনটাই দাবি করেছেন। তারা জানিয়েছেন এই সময় ৩.১৮ লক্ষ বিমার আবেদনপত্র জমা পড়েছে বীমা সংস্থাগুলির কাছে, যার হিসাব সেপ্টেম্বর ২৯ তারিখের মধ্যেই ভারতীয় মুদ্রায় ৪৮৮০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এ বিষয়ে শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বীমা সংস্থার প্রধান বলেন “আমরা দেখতে পাচ্ছি বিমার আবেদনপত্র গুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জমা পড়ছে, যা বেশকিছু সপ্তাহ আগেও শুধুমাত্র মেট্রো শহরগুলো থেকেই জমা পড়ছিল। আমার মনে হয় বীমা সংস্থাগুলি দ্বিতীয় দফায় রাজকোষ থেকে স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করেছে ১০০ শতাংশ। যার অর্থ এই ধারায় বার্ষিক স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের পরিমাণ যদি ১০০ শতাংশের বেশি দাঁড়ায় তাহলে তা ইঙ্গিত করে বীমা সংস্থাগুলির কাছে বীমার প্রিমিয়াম সংগ্রহের চেয়েও বীমার দাবি বেশি সংখ্যায় জমা পড়ছে।”
ইতিমধ্যেই সেপ্টেম্বর ২৯ তারিখের মধ্যেই ১.৯৭ লক্ষের বেশি অর্থাৎ ১৯৬৪ কোটি টাকা বীমার দাবি জমা পড়েছে। যার মধ্যে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রতেই ১.৩৫ লক্ষ্য অর্থাৎ ১৭১০ কোটি টাকার বীমার দাবি জমা পড়েছে। এছাড়াও তামিলনাড়ু ও গুজরাটে ২৭,৯১৩ টি বীমার দাবি জমা পড়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অনুসারে এই মুহূর্তে ভারতে সেপ্টেম্বর ৩০ তারিখের মধ্যেই ৯.৪০ লক্ষ্য সক্রিয় ভাবে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। তারমধ্যে ৫১.৮৭ লক্ষ্য জন হসপিটাল থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন এবং ৯৭,৪৯৭ জন ব্যক্তি এই অতিরীতে মারা গেছেন। এর মধ্যেই বেসরকারি ব্যাংক সংস্থা আইসিআইসিআই-এর নিরাপত্তা পরিষদের বক্তব্য অনুযায়ী ধরে নেওয়া যেতেই পারা যায় গত সেপ্টেম্বর থেকেই প্রতিমাসে এবার ১,১০৫ কোটি টাকা বীমার দাবি জমা পরবে যার মোট হিসাব দাঁড়ায় ১০,৫০০ কোটি টাকার কাছাকাছি।