বছর শেষের মুখে করোনাভাইরাস ঘিরে আবার আতঙ্ক বাড়ছে। কোভিড বিধি খানিকটা শিথিল হতেই চিনে নতুন করে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে। হাসপাতালে থিকথিকে ভিড়। আগামী দিনে সে দেশে লাফিয়ে বাড়তে পারে সংক্রমণ। এই প্রেক্ষাপটে চিনের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারত।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্যানেল আশ্বাসের সুরে জানিয়েছে যে, চিনের করোনা পরিস্থিতি বেগতিক হলেও এ নিয়ে ভারতের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে চিনের কোভিড পরিস্থিতির উপর সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এনকে অরোরা জানিয়েছেন যে, দেশে বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তাঁর কথায়, ‘‘আমরা শুনেছি যে, চিনে ব্যাপক আকারে কোভিড সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ভারতে টিকাকরণ করা হয়েছে।’’ যে কারণেই দেশে করোনার দাপট বাগে আনা গিয়েছে বলে মনে করেছেন তিনি। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গিয়েছে, দেশে এক দিনে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১১২ জন। গত কয়েক মাস ধরেই সংক্রমণের হার কমছে দেশে। তবে চিনে আবার করোনার দাপট দেখা যাওয়ায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের শেষে চিনেই প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে আসে। পরের বছর ২০২০ সালের শুরুতে ভারত-সহ বিশ্বের নানা দেশে কোভিডের দাপাদাপি শুরু হয়। এর পর ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউও হয়েছে। তবে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারতে করোনার প্রকোপ ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
চিনে কিছু দিন আগে করোনার কড়াকড়ি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন সে দেশের একাধিক বাসিন্দা। তবে সম্প্রতি করোনাবিধি শিথিল হতেই সে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে। মহামারী বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, আগামী ৯০ দিনে চিনের জনগোষ্ঠীর ৬০ শতাংশ মানুষই সংক্রমিত হবেন।