দেশে বহু শিশুর মধ্যে করোনার স্বাভাবিক প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাই যে সমস্ত এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার কম সেখানে ধাপে ধাপে স্কুল খোলার পক্ষে সওয়াল করলেন AIIMS এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানিয়েছেন, স্কুলে যাওয়া শিশুর বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে শিশুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন।
চিকিৎসক গুলেরিয়ার পরামর্শ, যে সব জেলায় সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের কম সেখানে ধাপে ধাপে স্কুল খোলার ব্যাপারে জেলাপ্রশাসনের আলোচনা করা উচিত। একদিন বাদে একদিন স্কুলে আসার নিয়ম চালু করা যেতে পারে। ধাপে ধাপে চালু করা যেতে পারে বিভিন্ন শ্রেণির পঠনপাঠন।
তিনি বলেন, স্কুলে যাওয়া শিশুর বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে শিশুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন। আমাদের দেশের বহু শিশু করোনার সংস্পর্শে এসে স্বাভাবিক প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করে ফেলেছে। আর স্কুল খোলার পর সংক্রমণ বাড়ছে বলে নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিতে হবে।
গত জুনেও স্কুল খোলার জন্য রণকৌশল তৈরি করতে গুরুত্ব দিয়ে ভাবার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক গুলেরিয়া। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় স্কুল খোলার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত। স্কুলে না যাওয়ায় আমাদের নবীন প্রজন্মের জ্ঞান ও বিশেষ দক্ষতার ওপর প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে প্রান্তিক শিশুরা এর ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা নেই।’
বলে রাখি, করোনা অতিমারির জেরে গত বছর মার্চ মাস থেকে বন্ধ স্কুলের পঠনপাঠন। মাঝে ডিসেম্বরে উঁচু ক্লাসের পঠনপাঠন শুরু হলেও ফের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ফেব্রুয়ারি থেকে তা বন্ধ হয়ে যায়।