দেশের করোনা পরিস্থিতি চোখ রাঙাচ্ছে। একের পর এক সমীক্ষার রিপোর্ট আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। এবার যে তথ্য সামনে এনেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, তা বেশ চিন্তার। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সমীক্ষা বলছে ১২ দিনে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
সাপ্তাহিক করোনা আক্রান্তের হার ৩.০৫ শতাংশ থেকে এক লাফে বেড়ে হয়েছে ১৩.৫৪ শতাংশ। ১২ দিনে করোনা আক্রান্তের হার ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬.৬৯ শতাংশ। মন্ত্রক জানিয়েছে ১০টি রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে দেশের করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যার ৭৮.৫৬ শতাংশ। এর মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র, কেরালা, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, দিল্লি, ছত্তিশগড়, গুজরাত, তামিল নাড়ু, কর্ণাটক ও রাজস্থান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬১ হাজার ৫০০ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫০১ জনের। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ভারতে ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ৮৮ হাজার ১০৯ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। মৃতের সংখ্যা পৌঁছল ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ১৫০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪২৩ জন। এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ২৮ লক্ষ ৯ হাজার ৬৪৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৮ লক্ষ ১ হাজার ৩১৬।
করোনা সংক্রমণ রোধে শুরু হয়েছে টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া। এখনও পর্যন্ত দেশের মোট ১২ কোটি ২৬ লক্ষ ২২ হাজার ৫৯০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এখনও টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু তাতেও সংক্রমণে লাগাম টানা যাচ্ছে না। ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে গোটা দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার জন। দিল্লি থেকে ১০০ থেকে ১৫০ জনের মতো আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছিল।
কিন্তু তারপরই আচমকা বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। মাস দুয়েকের মধ্যেই তা পৌঁছে যায় দৈনিক ২ লক্ষ আক্রান্তে। মহারাষ্ট্রে শনিবার ৬৭ হাজার ১২৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনের হিসেবে এই সংখ্যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। শনিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী মৃত্যু হয়েছে ৪১৯ জনের। রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ লক্ষে গিয়ে পৌঁছেছে। দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৪ হাজার জন। আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা প্রায় ২৪ শতাংশ বেড়েছে।