চিনের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ত্রাসের হয়ে উঠছে। বিট্রেনের এক সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, একদিনে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এরপরেই মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকেই বেজিং কোভিড বিধি শিথিল করেছে। চিনেপ কর্মকর্তাদের হিসাব অনুযায়ী ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছে। চিনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের ডেপুটি ডিরেক্টর সান ইয়াং বুধবার এক বিবৃতিতে জানান, শুধুমাত্র মঙ্গলবারেই কেবল ৩৭ মিলিয়ন অর্থাৎ তিন কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ করোনার কবলে পড়েছেন।
সেই বিবৃতিতে সান আরও বলেন, চিনে কোভিড সংক্রমণের হার এখনও বাড়ছে এবং অনুমান করা হচ্ছে যে বেইজিং ও সিচুয়ানের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে। গত রবিবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন যারা দৈনিক ভিত্তিতে দেশের কোভিড-১৯ মামলার পরিসংখ্যান প্রকাশ করত, সেই সংস্থা করোনা আক্রান্তের সরকারি রিপোর্ট পেশ বন্ধ করে দিয়েছে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) জানায়, কোভিড-১৯ র প্রতিদিনের আক্রান্তের তথ্য প্রকাশ বন্ধ করবে চিন। তবে এর পরিবর্তে, চিনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র, গবেষণা ও রেফারেন্সের জন্য কোভিড সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করবে। গতকাল জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনসিসি) ওয়েবসাইটে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করেছে। চিনে নতুন করে ৪ হাজার ১২৮ জনের সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।
২৩ ডিসেম্বর, ৭৬০ জন রোগী সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান এবং ২৮,৮৬৫ জন সংক্রমিত মানুষের চিকিৎসা চলছিল, তারাও সুস্থ হয়ে উঠেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৯। এর আগে, ব্রিটিশ স্বাস্থ্য তথ্য সংস্থা এয়ারফিনিটি বলেছিল যে চিনের সংক্রমণ প্রতিদিন ১০ লক্ষেরও বেশি হতে পারে, যেখানে প্রতিদিন ৫,০০০ এরও বেশি লোকের মৃত্যু হচ্ছে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে চিন তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে সব বিবরণ দেবে। যদিও সরকারি ভাবে এটুকু বলা হয়েছে, এখনই আতঙ্কের কিছু নেই, তবে করোনা-পরিস্থিতির উপর নিরন্তর নজর রেখে চলতে হবে। কিন্তু এরই মধ্যে এই বিএফ.৭ ভ্যারিয়্যান্টটির অস্তিত্ব নিয়ে খবর পাওয়ার পরে পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে পড়েছে সন্দেহ নেই। কেননা, বিএফ.৭ ভ্যারিয়্যান্টটি থেকে বেজিং ভুগছে। বিএফ.৭ ভ্যারিয়্যান্টটি-কে বলা হচ্ছে ‘হাইলি ট্রান্সমিসিবল’। ফলে, ভয় থাকছেই।