দিন কয়েক আগেই সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ঘোষণা করেছিলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই করোনার টিকা সরকারের হাতে চলে আসবে। মোদির ঘোষণার পর সত্যি সত্যিই ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) বাজারে আনার ব্যপারে অনেক দূর এগিয়ে গেল ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, তিনটি সংস্থা ইতিমধ্যেই নিজেদের ভ্যাকসিন ভারতের বাজারে আনার ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করেছে। ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন ভারত সরকারের আছে। আর সেই গাইডলাইন মেনেই আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কোনও না কোনও ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দেবে ভারত।
মঙ্গলবার, কেন্দ্রের তৈরি কোভিড ম্যানেজমেন্ট টিমের প্রধান তথা নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল ঘোষণা করেছেন, ইতিমধ্যেই তিনটি সংস্থা ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র পাওয়ার আশায় সরকারের কাছে আবেদন করেছে। সুত্রের খবর, ভারতের বাজারে নিজেদের ভ্যাকসিন আনার জন্য প্রথম আবেদন করেছিল মার্কিন সংস্থা ফাইজার বায়োএনটেক (Pfizer)। তারপরই আবেদন করে সেরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute) । ভারতেই অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার টিকা উৎপাদন করছে তারা। তৃতীয় সংস্থাটি ভারত বায়োটেক। তারাও জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিন ব্যবহারের ছাড়পত্র চেয়েছে। ভি কে পল (VK Paul) জানিয়েছেন, তিনটি সংস্থার আরজিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনটি সংস্থার ভ্যাকসিনকেই ছাড়পত্র দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ (Rajesh Bhushan) আবার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন। তিনি বলছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কোনও না কোনও করোনার টিকায় ছাড়পত্র দেওয়া হবে। কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলির সঙ্গে যৌথভাবে আলোচনা করে টিকাকরণ করার পদ্ধতি নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন,”কেন্দ্রের তৈরি কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী স্বাস্থ্য কর্মী, জরুরি কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মী, রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের নিরাপত্তারক্ষী, সেনা কর্মী, হোমগার্ড, বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মী, পুরসভার কর্মী এবং ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স তাদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। রাজ্যস্তরে ইতিমধ্যেই তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে।” স্বাস্থ্য সচিব আশ্বস্ত করেছেন, করোনার ভ্যাকসিন স্টোর করার জন্য উপযুক্ত কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থা ভারতে আছে।