দেশ জুড়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণ ১ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণই একমাত্র উপায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাই এ বার কর্মক্ষেত্রে টিকা দেওয়া হবে, এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আগামী ১১ এপ্রিল থেকে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে শুরু হবে এই কর্মসূচি। তার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের তরফে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সাহায্যে এই টিকাকরণ কর্মসূচির সুফল যাতে আরও মানুষ পান তারই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে কর্মক্ষেত্রে অনেকে যাতায়াত করেন। সেখানে সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই যে সব অফিসে টিকা নিতে ইচ্ছুক এবং টিকা নেওয়ার যোগ্য ১০০ জন কর্মীকে পাওয়া যাবে, তাঁদের কর্মক্ষেত্রে টিকা দেওয়া হবে। সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের অফিসের জন্যই এই নির্দেশিকা’।
ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র-সহ বেশ কিছু রাজ্যে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২৪ ঘণ্টা টিকাকরণ কেন্দ্র খোলা রাখার। মহারাষ্ট্র সরকার কেন্দ্রকে জানিয়েছে, টিকার মজুত কমছে। তাই টিকার জোগান আরও বাড়ানোর আবেদন করেছে তারা। যদিও কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, কোনও রাজ্যে যাতে টিকাকরণে কোনও সমস্যা না হয় সে দিকে নজর রাখছে কেন্দ্র। টিকার ঘাটতি হবে না বলেও জানিয়েছে তারা।