শুধু চিনে নয়, আরও ছ’টি দেশে হঠাৎই লাফ দিয়ে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্টের জেরে এবার জেরবার প্রায় সকলেই। নতুন বছরে যে একটু ঘুরতে যাবেন সেগুড়েও বালি। বেশ কিছু জায়গা এড়িয়ে চলতে বলছেন চিকিৎসকরা। নতুন বছরে করোনা যতক্ষণ না কমছে ততক্ষণ এড়িয়ে চলুন এই দেশগুলি৷ বর্ষশেষের রাতগুলিতে বিদেশভ্রমণের ইচ্ছা থাকে, তাহলে কোন কোন দেশে ভুলেও যাবেন না। এর মধ্যে বিপজ্জনক রপ্যেছে বেশ কয়েকটি দেশ।
যেমন চিনের পরে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। স্বাস্থ্য রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনার নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণে আক্রান্ত। জাপানেও এক অবস্থা। জাপানে প্রতিদিন ২ লক্ষেরও বেশি নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। রিপোর্ট বলছে, ২৫ অগস্ট থেকে প্রথমবারের মত এক দিনে ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।
এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থাও প্রায় এক সেখানে একদিনে প্রায় ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে বিদেশি রয়েছেন ৯৫জন। একসপ্তাহ আগের থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১২০০-রও বেশি। ব্রাজিল-জার্মানিতেও কোভিডের বাড়বাড়ন্ত রয়েছে৷ তবে প্রতিটি জায়গায় ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্টেই আক্রান্ত কি না তা জানা যায়নি।
চিনের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ত্রাসের হয়ে উঠছে। বিট্রেনের এক সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, একদিনে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এরপরেই মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকেই বেজিং কোভিড বিধি শিথিল করেছে। চিনের কর্মকর্তাদের হিসাব অনুযায়ী ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছে। চিনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের ডেপুটি ডিরেক্টর সান ইয়াং বুধবার এক বিবৃতিতে জানান, শুধুমাত্র মঙ্গলবারেই কেবল ৩৭ মিলিয়ন অর্থাৎ তিন কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ করোনার কবলে পড়েছেন।