ভারতে পাওয়া গিয়েছে করোনাভাইরাসের প্রজাতি (Coronavirus Variant) ডেল্টা স্ট্রেইনই (Delta Strain)৷ এই স্ট্রেইন সবচেয়ে ভয়ানক ও উদ্বেগের বলে মত চিকিৎসকদের। করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিভিন্ন গবেষণার পর চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই স্ট্রেন থেকে সংক্রমণ হলে শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে হতে পারে গ্যাংগ্রিন হতে পারে। এমনকি শ্রবণ ক্ষমতাও নষ্ট হতে পারে। করোনা পরীক্ষায় এই স্ট্রেন ধরা পড়লে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
গোটা বিশ্বের কাছে এখন আতঙ্ক B.1.617.2 ভ্যারিয়েন্ট বা ডেল্টা ভ্য়ারিয়েন্ট। ব্রিটেন ইতিমধ্য়েই ঘোষণা করেছে, এই ভ্যারিয়েন্ট ডাবল চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলে দিয়েছে মানুষকে। এটি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা হ্রাস করতে সক্ষম। সম্প্রতি কানে শুনতে সমস্যা হওয়া, গ্যাস্ট্রিক এবং রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো কিছু অচেনা ক্ষতির চিহ্ন দেখা দিয়েছে ভারতে। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের জন্যই এই সমস্যা হচ্ছে। বলে রাখি, ডেল্টা বা বি.১.৬১৭.২ প্রজাতির ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে মোট ৬০টি দেশে। ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডে কিছু রোগীর মধ্যে কানে শুনতে সমস্যা হওয়া, গ্যাস্ট্রিক এবং রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া, এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল।
তবে গবেষকদের একাংশ বলেছেন, করোনার প্রথম আলফা ভ্যারিয়েন্টের থেকে আরও মারাত্মক এই ডেল্টা স্ট্রেন। প্রথমে ব্রিটেনের কেন্টে পাওয়া গিয়েছিল করোনার এই আলফা ভ্যারিয়েন্ট। গবেষকদের মতে, আলফা ভ্যারিয়েন্টের থেকে ৫০শতাংশ বেশি সংক্রামক করোনার ডেল্টা স্ট্রেন। যদিও গবেষকরা জানিয়েছেন, বেশি সংক্রামক হলেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জন্য বেশি মানুষ মারা গেছেন কি না, এ বিষয়ে নিশ্চিত নন তাঁরা। এমনকী এই ভ্যারিয়েন্টের ফলে কোভিড রোগীর অবস্থা গুরুতর হয়েছে কি না তাও জানেন না গবেষকরা।
এবিষয়ে বিশিষ্ট চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের বক্তব্য, কানে শুনতে সমস্যা হওয়া, গ্যাস্ট্রিক এবং রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিলেও প্যানিক করার কিছু নেই৷ এগুলো বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা৷ তবে যদি এই সমস্যাগুলো হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷