রবিবার আনুষ্ঠানিক সূচনা হল ভারতের বৃহত্তম করোনা হাসপাতালে। দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তবর্তী এলাকায় ছাতারপুর এর আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হল। এই উপলক্ষে হাসপাতাল দিতে পরিদর্শনে আসেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) , উপ রাজ্যপাল অনিল বৈজাল, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই হাসপাতালটি নিয়ন্ত্রণে থাকবে আইটিবিপি। আইটিবিপি ডিজি এস এস দেশুয়াল জানিয়েছেন, আইটিবিপি চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা এই হাসপাতালের দায়িত্বে থাকবেন। বিগত কয়েক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে আইটিবিপি চিকিৎসকেরা।প্রথমদিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোতে আইটিবিপি চিকিৎসকদের মোতায়েন করা হয়েছিল।পরবর্তী সময়ে উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় দুশো শয্যার আধা সেনা জওয়ানদের করোনা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে দায়িত্বে রয়েছে আইটিবিপি। ভারতের বৃহত্তম করোনা হাসপাতালে রবিবার পরিদর্শন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং ডিআরডিও জি সতীশ রেড্ডি। দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তের ছাতারপুর ১০ হাজার শয্যাবিশিষ্ট ভারতের বৃহত্তম করোনা হাসপাতালটি গড়ে তুলেছে ডিআরডিও। এই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় থাকবে আইটিবিপি। অর্থাৎ আইটিবিপি চিকিৎসকরাই করোনা রোগীদের চিকিৎসা করবে।হাসপাতালটির পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এর গাইডল মেনে এই হাসপাতলে ২৫০ আইসিইউ ইউনিট রয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য এখন আর হাসপাতাল শয্যার অভাব নেই। দিল্লিতে ১৫, ৫০০ বেশি শয্যা রয়েছে যার মধ্যে ব্যবহৃত হয়েছে ৫৩০০।
করোনা পরিস্থিতি আবার ভয়াবহ আকার ধারণ করলে তখন এই শয্যাগুলি ব্যবহার করা হবে এর আগে এদিন সকালে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছিলেন যে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে চাহিদা কমছে। কারণ বেশির ভাগই বাড়ির মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছে। আগে ৬২০০ রোগী প্রতি সপ্তাহে হাসপাতালে যেত বর্তমানে সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৩০০।ডিআরডিও তৈরি দেশের বৃহত্তম এই করোনা হাসপাতলে কাজ করবেন প্রায় ৬০০ জন। এদের মধ্যে রয়েছে চিকিৎসক, নার্স এবং প্যারামেডিক্স আধিকারিক।রবিবার এই কথা জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডা: মাধুরি কর্নিতকার প্রয়োজন পড়লে এই সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি হতে পারে।ছয় ঘণ্টা শিফটে কাজ করবে এরা। উল্লেখ করা যেতে পারে মাত্র ১২ দিনে দেশের বৃহত্তম এই হাসপাতালটি গড়ে তুলেছে ডিআরডিও। এদিন পরিদর্শনকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে দিল্লিবাসীকে যথাসম্ভব সহায়তা করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এই হাসপাতালটি তারই প্রমাণ বয়ে নিয়ে চলেছে।