আতঙ্ক আগেই ছিল। তা যে অমূলক নয়, ক্রমশ প্রমাণিত হচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে প্রায় ৩০ শতাংশ করোনা আক্রান্তের নিজামুদ্দিন যোগ রয়েছে। দিল্লির (Delhi) ধর্মীয় সমাবেশ ফেরত তবলিঘি জামাতের (Tabalighi Jamat) সদস্যরা দেশের ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই ছড়িয়ে রয়েছে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমন তথ্য দিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল। তিনি জানান, তামিলনাড়ুর ৮৪ শতাংশ, তেলেঙ্গানার ৭৯ শতাংশ, দিল্লির ৬৩ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশের ৫৯ শতাংশ ও অন্ধ্রপ্রদেশের ৬১ শতাংশ আক্রান্তের নিজামুদ্দিন যোগ রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এদিন বিকেল পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,৭৯২ জন। তার মধ্যে ৪২৯১ জনের মারকাজ যোগ রয়েছে। এদিকে রাজ্যের জন্য আশার আলো দেখিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। জানিয়েছে, গত ১৪ দিনে রাজ্যের দুই জেলা দার্জিলিঙ ও কালিম্পং থেকে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি।
দেশে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে করোনার থাবা। চলছে মৃত্যুমিছিলও। শনিবার বিকেল পর্যন্ত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৯৫৭। মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮৮ জন। এদিন পর্যন্ত গোটা দেশে সুস্থ হয়েছেন আক্রান্তদের ১৩.৮৫ শতাংশ অর্থাৎ ২,০১৫ জন।
কোন বয়সের রোগীদের মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি? তা নিয়েও এদিন পরিসংখ্যান দেন লব আগরওয়াল। তিনি জানান, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের মৃত্যু হার সর্বোচ্চ। এ পর্যন্ত ৭৫.৩ শতাংশ ষাটোর্ধ্ব আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। ৪৫-৬০ বছরের মধ্যে থাকা ১০.৩ শতাংশ আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ১৪.৪ শতাংশ মৃতের বয়স ৪৫ বছরের মধ্যে। তবে দ্রুত দেশে করোনামুক্তি ঘটছে বলেও আশা জাগিয়েছেন তিনি।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৪ দিনে জেশের ৪৫টি জেলা থেকে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি। গত ২৮ দিনে ২৩ জেলার ৪৭টি জেলায় সংক্রমণের হার অনেকটাই কমেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।